দু' বার ভারতীকে আটকালো পুলিশ বিজেপি প্রার্থীর রক্ষীদের গুলিতে আহত এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আটকালো পুলিশ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ
ভারতীর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। এই ঘটনায় দ্বিতীয়বার ভারতীর কনভয় আটকে ভারতীর দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থানায় নিয়ে যেতে চাইল পুলিশ। মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানায় তাঁকে যেতে বলা হয়েছে দাবি করলেন ভারতী। আবার বুথের একশো মিটারের মধ্যে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঢোকার জন্য ভারতীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
এ দিন বাসন্তীর সভা থেকে কেশপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে সরব হন মমতাও। ভারতীর নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বুথের মধ্যে ঢুকে গুলি চালিয়ে সাধারণ গ্রামবাসীকে আহত করেছে বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষী।
এ দিন সকালে কেশপুরের দোগাছিয়ায় গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। দোগাছিয়ায় ভোট লুঠ হচ্ছে বলে অভিযোগ পান ভারতী। তিনি সেখানে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ভারতীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ভারতী এবং তাঁর নিরাপত্তরক্ষীদের ঘিরে ধরে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ভাঙা হয় ভারতী এবং পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি। ভারতীর এক নিরাপত্তারক্ষীরও মাথা ফেটে যায়। শূন্যে গুলি চালিয়ে ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে ভারতীকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের ছোড়া গুলিতে আহত হন এক গ্রামবাসী। তিনি সেখানে ভোট দিতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভারতীর নির্দেশেই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ আহতের পরিবারের।
ভারতী এবং তাঁর নিরাপত্তরক্ষীদের অবশ্য দাবি, আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাতে বাধ্য হয় আধা সামরিক বাহিনী। এই ঘটনার পরে তৃণমূল সমর্থকদের রোষ থেকে বাঁচতে কেশপুর থানায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকেন ভারতী এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের বুথে বুথে যেতে শুরু করেন ভারতী। কিন্তু বিকেলের দিকে পিংলা যাওয়ার পথে মেদিনীপুর শহরে ফের ভারতীর কনভয় আটকায় রাজ্য পুলিশ। ভারতী এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের জানানো হয়, গুলি চালানোর ঘটনায় তদন্তে সহযোগিতার জন্য তাঁদের কোতওয়ালি থানায় যেতে হবে। এই নিয়ে রাস্তার মধ্যেই দু' পক্ষের বাদানুবাদ শুরু হয়। ভারতীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বোঝানোর চেষ্টা করেন, আক্রমণাত্মক জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই গুলি চালাতে বাধ্য হন তাঁরা। কিন্তু সেই যুক্তি মানেনি পুলিশ. ভারতী প্রশ্ন তোলেন, গুলি চালানোর অভিযোগ থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযুক্ত জওয়ানদের পুলিশ আটকাক, তাঁকে কেন আটকে রাখা হয়েছে?
এ দিকে ভারতীর বিরুদ্ধেও জোড়া নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথমত এ দিন সকালে কেশপুরে একটি বুথে ঢুকে ভিডিও রেকর্ডিং করেন ভারতী। তাছাড়াও বুথের একশো মিটারের মধ্যে সশস্ত্র রক্ষী নিয়ে প্রবেশের অভিযোগে ভারতীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয় কমিশন। প্রায় আধ ঘণ্টা আটকে রাখার পরে ভারতী এবং তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের ছেড়ে দেওয়া হবে। ভারতীর অভিযোগ, তাঁর সময় নষ্ট করার জন্যই আটকে রাখছে পুলিশ?
