সংক্ষিপ্ত

তদন্তের শুরুতে পার্থ সাহা নামে এক ব্যক্তিকে হালিশহর থেকে ধরে পুলিশ। তারপর তার কাছ থেকে অ্যাক্টিভেটেড ৭০০ সিম কার্ড মেলে। সেই সূত্র ধরেই শিবশংকর সাহাকে পাকড়াও করা হয়।

প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথেই গোটা রাজ্যেই হু হু করে বেড়ে চলেছে সাইবার জালিয়াতির পরিমাণ (big cyber fraud ring in Kolkata)। এদিকে গত মাসের ২০ তারিখে বেহালার পর্ণশ্রীতে ২০ লক্ষ টাকা এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় সাইবার জালিয়াতিদের খপ্পরে পড়ে। ওই ব্যক্তির ছটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ লক্ষ টাকার সাইবার জালিয়াতি হয় (Cyber Fraud of 20 lakhs)। তারপরই তা নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। সক্রিয় সিম কার্ড এর  সূত্র ধরে  টাওয়ার এর অবস্থানের সূত্র ধরে শুরু হয় ধরপাকড়। তার তাতেই সামনে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি এই বিষয়ে পর্ণশ্রী থানার সাইবার জালিয়াতি কেস নিয়ে টালিগঞ্জ ডিসি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডিসি সাউথ-ওয়েস্ট সোয়াতি ভাঙ্গালিয়া।

তদন্তের শুরুতে পার্থ সাহা নামে এক ব্যক্তিকে হালিশহর থেকে ধরে পুলিশ। তারপর তার কাছ থেকে অ্যাক্টিভেটেড ৭০০ সিম কার্ড মেলে। সেই সূত্র ধরেই শিবশংকর সাহাকে পাকড়াও করা হয়। তার কাছ থেকে অ্যাক্টিভেটেড ৪৮ সিম কার্ড মেলে। পার্থ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শ্যামল মণ্ডল, রামু গিরি, নিরঞ্জনকুমার পালের নাম উঠে আসে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বিভিন্ন ইন্সট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ওটিপি বিক্রির মাধ্যমে ভয়ঙ্কর সাইবার জালিয়াতি চালাচ্ছিল প্রতারকেরা। ব্যবসায় এমনই রমরমা যে ‘ইন্ডিয়ান ওটিপি সেলার’ নামে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপও খোলা হয়েছে। এমনকী জাল আধার কার্ড দিয়ে কেওয়াইসি তৈরি করা হত। নম্বর থাকত একজনের কাছে, কিন্তু কার্যত ওটিপি জেনারেট করে ওয়ালেট তৈরি হয়ে যেত। একটা নম্বর দিয়ে সব ওয়ালেট খোলা হয়ে গেলে তারপর সেই সিম বিক্রি করা হত। এই তথ্য সামনে আসতেই স্বভাবতই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদেরও।

আরও পড়ুন-কোথাও ছাপ্পা তো কোথাও এলাকার বাসিন্দাদের মারধর, বেলা বাড়তেই ব্যাপক উত্তেজনা বিধাননগরে

তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে বিভিন্ন সংস্থার ওয়ালেট কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট টার্গেট থাকে টার্গেট পূরণ না হাওয়ায় কর্মচারীরা প্রতারকদের সঙ্গে যোগযোগ করে ওয়ালেট খোলাতো ওই সিম গুলো দিয়ে। একটা নির্দিষ্ট অ্যাপও ইন্সটল করতে বলা হত।  ইন্সটল করা হয়ে গেল স্ক্রিন শেয়ার হয়ে যেতো ওই মুহূর্তেই। তখনই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারকেরা নিজর নম্বার ঢুকিয়ে দিয়ে অ্যাকাউন্টটি নিয়ন্ত্রণ করত। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত মোট ৩ থেকে ৪টি গ্রুপ পাওয়ার গিয়েছে। গোটা দেশ এমন কি বিদেশের লোকেরাও জড়িত আছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ অভিযুক্ত টেলি কমিউনিকেশন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে।

 

আরও পড়ুন-কী বলছে সংবিধানের ১৭৪ নম্বর ধারা, কোন ক্ষমতা বলে বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করলেন রাজ্যপাল

আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে তৃণমূল বা বিজেপি ক্ষমতায় এলে মেয়র নিয়ে চলবে টানাপোড়েন, তোপ অশোকের