সংক্ষিপ্ত

গণহত্যার পর এবার গণধর্ষণ। নৃশংসতায় নাম লেখাল ফের সেই বীরভূম। ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার গণধর্ষণ করার অভিযোগ।

গণহত্যার পর এবার গণধর্ষণ। নৃশংসতায় নাম লেখাল ফের সেই বীরভূম। ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার গণধর্ষণ করার অভিযোগ। উল্লেখ্য, এখনও বাতাসে আর্তনাদের আওয়াজ, পোড়া গন্ধ বগটুইয়ে। তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের বদলায় ইতিমধ্যে বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে একের পর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে হাঁসখালি ধর্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য।  ইতিমধ্যেই বীরভূমের গণধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, বোলপুরের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা। অভিযোগ এক প্রতিবেশী যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে। ভিডিও করে রাখে গোটা ঘটনার।এরপর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার গণধর্ষণ করার অভিযোগ। তবে ঘটনাচক্রে নাবালিকার মা গোটা ঘটনাটা জানতে পেরে যান। এরপরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ পেয়েই  ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে শারীরিক পরীক্ষা করাতে  হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন, নির্যাতিতাকে দাহ করার সময় শ্মশানে ছিলেন তৃণমূল নেতা সমরেন্দু, হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে ২

স্থানীয় সূত্রে খবর, এই নিয়ে একমাসে চতুর্থবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটল বীরভূমে। ওই নাবালিকাকে এক বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দেখতে পায় চার যুবক। তখনই তাঁৎা নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে ওই চার যুবক। তারপর বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে বলে ওই নাবালিকাকে ডেকে চারজন মিলে গণধর্ষণ করে। এরপর তাঁরা বলে, মুখ খুললে প্রাণনাশ করা হবে বলে হুমকিও দেয় ওই চার যুবক।  ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার গণধর্ষণ চলে। তবে মায়ের অভিযোগ দায়েরের পরেই ঘটনার যবনিকা পড়ে।

আরও পড়ুন, গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টার জের, ১২ দিন লড়াইয়ের পর ময়নাগুড়িতে নির্যাতিতার মৃত্যু

যদিও একের পর এক ভয়াবহ নৃশংস ঘটনার শিকড় বীরভূম। কারণ এই বীরভূমেই এখনও বাতাসে আর্তনাদের আওয়াজ, পোড়া গন্ধ বগটুইয়ে। এদিকে রবিবার বগটুইকাণ্ডে ফের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রামপুরহাট বগটুইকাণ্ডে দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর প্রাণ হারালেন আরও একজন। বগটুইকাণ্ডে এক নাবালিকা, এক পুরুষ, আট মহিলা সহ মোট ১০ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। এদিকে তারই মধ্যে ঘটল গণধর্ষণের ঘটনা। প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষকরা পুলিশের জালে ধরা পড়ছেন ঠিকই, তবে ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গে। মার্চের শেষে সেই মাটিয়াকাণ্ডের পর হাঁসখালি, শান্তিনিকেতন, ময়নাগুড়ি, মেদিনীপুর, বীরভূমের কীর্ণাহারে, হুগলির কোন্ননগর, গাইঘাটা, একের পর এক হিংস্রভাবে ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। যার ফলে তীব্র আতঙ্কে রয়েছে রাজ্যবাসী। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। 

আরও পড়ুন, অটোয় নাবালিকার গোপানাঙ্গে স্পর্শ, মানিকতলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার খোদ পুলিশই