সংক্ষিপ্ত
বীরভূমের রামপুরহাটের (Birbhum, Rampurhat) বাগটুই (Bagtui) গ্রামের ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। রামপুরহাটের হাত্যকাণ্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'জঘন্য অপরাধ।
বীরভূমের রামপুরহাটের (Birbhum, Rampurhat) বাগটুই (Bagtui) গ্রামের ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। রামপুরহাটের হাত্যকাণ্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'জঘন্য অপরাধ। রাজ্যকে তিনি বলবেন অপরাধীদের যেন ক্ষমা না করা হয়।' পাশাপাশি গোটা ঘটনার নিন্দাও করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রামপুরহাটকাণ্ডে অপরাধীদের গ্রেফতার থেকে বিচার- সবক্ষেত্রেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন তিনি আশা করেন, রাজ্য সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যারা এই ধরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের ক্ষমা করা কখনই উচিৎ নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে হওয়ার হিংসার ঘটনায় তিনি খুবই শোকাহত। তারপরই তিনি বলেন, যারা এজাতীয় জঘন্য কাজ করেছে বাংলার মাটি তাদের অবশ্যই শাস্তি দেবে। বীরভূমের ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই উত্তপ্ত রাজ্যরাজনীতি। বাগটুই গ্রামের তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে বোমা মেরে হত্যার পর একটি বাড়িতে ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের বিরেধী রাজনীতিক দলগুলি।
এদিন বীরভূমের রামপুহাটের বিধ্বস্ত গ্রাম বাগটুই যান বাম ও বিজেপির প্রতিনিধিরা। তবে এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগামিকাল আর্থাৎ বৃহস্পতিবার বীরভূম যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বীরভূমের ঘটনার রিপোর্ট তলব করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি জানিয়েছেন, বীরভূমে যেতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই ঘটনার পরই বিরোধীরা বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ নিহত হওয়ার পর কাছেই বগটুই গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যদিও তৃণমূলের বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন টিভি বা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগেছিল। কিন্তু সেই বক্তব্য খারিজ করে দিলেন নিহত মিনা বিবির ছেলে ভাসান শেখ। ভাসান শেখ রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি পাশেই পশ্চিম পাড়ায় পিসির বাড়িতে থাকেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ৪৫ বছর বয়সী মা মিনা বিবি'কে প্রথমে কুড়ুল দিয়ে ঘাড়ে মাথায় এবং পেটে কোপ মারা হয়েছে, তারপর পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন তার ভাইপো এবং এক ভাগ্নি। কারণ ওই বাড়িতে ঢোকার আগে দুষ্কৃতীরা বোমা মারে। সেই বোমার শব্দে ভাইপো এবং ভাগ্নি দৌড়ে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। বাথরুমের পাশে ঝোপের আড়ালে অন্ধকারে লুকিয়ে ছিল। তারাই দেখেছে, দুষ্কৃতিরা তাঁর মাকে কুড়ুল দিয়ে একের পর এক কোপ মারে।
কাঠের ট্রেডমিল নিয়ে বিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া, অজ্ঞাতপরিচয় শিল্পির খোঁজ চলছে নেটদুনিয়ায়
'অসৎ বুদ্ধিজীবীরা রাজ্য চালালে কী হয়', রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে টুইট রণবীর শোরের
মাত্র ১১ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে লালু প্রসাদ যাদব, এইমসের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা তাঁর