সংক্ষিপ্ত
দল ছেড়েছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। এবার তার অনুগামী নেতৃত্বদের সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে বহিষ্কার করলেন এক মন্ডল সভাপতি।
একমাস আগে দল ছেড়েছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক(BJP MLA) কৃষ্ণ কল্যানী(Krishna Kalyani)। এবার তার অনুগামী নেতৃত্বদের সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে বহিষ্কার(Expulsion) করলেন এক মন্ডল সভাপতি। এই ঘটনা নিয়ে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল (faction feud) চরমে উঠেছে। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। বিষয়টি তাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং তা মিটিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি।
বিজেপির এই দলীয় কোন্দল প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বিজেপি ধীরে ধীরে বাংলা থেকেই উঠে যাবে।রায়গঞ্জের বিধায়ক কিছুদিন আগে দল ছেড়েছেন। বহু বিজেপি কর্মী ও কার্যকর্তা বিজেপি ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসে। বিজেপির এখন নিজের ঘর সামলানোর পাশাপাশি গোষ্ঠীকোন্দল মেটানোই সবচেয়ে বড় কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল তীব্র আকার ধারন করেছে।
উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ ৩১ নম্বর মন্ডল সভাপতি আচমকাই বিজেপির সক্রিয় দুই নেতা সঞ্জয় কুমার দেব এবং সঞ্জয় শীলকে বহিষ্কার করে দেয়। যদিও বিজেপির কোনও কার্যকর্তাকে বহিষ্কার করার এক্তিয়ার কোনও মন্ডল সভাপতির তো নেই, জেলা সভাপতিরও নেই। বিজেপির দলীয় সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা বিজেপির কার্যকর্তাদের মধ্যে।
Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে
এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান
পিরিয়ডসের সময় এই নিয়মগুলো মানেন তো, জেনে রাখা উচিত পুরুষদেরও
সদ্য দল ছাড়া রায়গঞ্জের সাংসদ কৃষ্ণ কল্যানী বলেন, আমার সাথে রায়গঞ্জের উন্নয়ন ও পরিষেবামূলক কাজকর্মে যুক্ত থাকার জন্য রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ষড়যন্ত্র করে ওই দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে। তাঁর পাল্টা হুমকি সাংসদ বা দলের যদি সাহস থাকে আমাকে বহিষ্কার করে দেখাক। আমি নিজেও শোকজের কোনও জবাব দিইনি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ভুল স্বীকার করে জানিয়েছেন, একজন মন্ডল সভাপতি কোনও কার্যকর্তাকে বহিষ্কার করতে পারেন না।
তিনি আরও জানান, সঞ্জয় দেব এবং সঞ্জয় শীলকে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের জন্য শোকজ করা হয়েছিল। যদিও সেই শোকজের জবাব তাঁরা দেননি। তবে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। বিজেপির এই গোষ্ঠীকোন্দল এবং দলের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকার বলেন সারা বাংলা থেকেই এই দল উঠে যাবে। রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলায় আগামীতে বিজেপি বলে কোনও দল থাকবে না।
"