সংক্ষিপ্ত

এশিয়ানেট নিউজ বাংলায় প্রকাশিত হতেই একদিকে যেমন বেশ চাপে পুরুলিয়া পৌরসভা অন্যদিকে এই চাঞ্চল্যকর খবরকে হাতিয়ার করে পৌরসভা নির্বাচনের আগে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি শিবির। বৃহঃষ্পতিবার পুরুলিয়া শহর বিজেপির পক্ষ থেকে পুরুলিয়া পৌরসভায় দেখানো হয় বিক্ষোভ।

এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের। পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল উধাও এশিয়ানেট নিউজ বাংলায়(Asia Net News Bangla) প্রকাশিত হতেই একদিকে যেমন বেশ চাপে পুরুলিয়া পৌরসভা(Purulia Municipality) অন্যদিকে এই চাঞ্চল্যকর খবরকে হাতিয়ার করে পৌরসভা নির্বাচনের আগে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি শিবির। বৃহঃষ্পতিবার পুরুলিয়া শহর বিপির(BJP) পক্ষ থেকে পুরুলিয়া পৌরসভায় দেখানো হয় বিক্ষোভ। পুরুলিয়া শহর বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারীর নেতৃত্বেই মূলত দেখানো হয় বিক্ষোভ। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা, বিজেপি নেতা রাজেশ কাটারুকা বিজেপি মহিলা মোর্চার(BJP Women's Front) জেলা সভানেত্রী কাবেরী চ্যাটার্জী সহ অন্যান্যরা। বিজেপির দক্ষিণ মন্ডল শহর সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারী জানান, এশিয়ানেট নিউজ বাংলায় প্রথম সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল নিখোঁজের খবর প্রকাশিত হয়। এত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পৌরসভা থেকে উধাও হয় কিভাবে। তার জন্যই আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। এই ফাইল রহস্য উন্মোচন না হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে। এই খবর প্রকাশ করার জন্য এশিয়া নেট নিউজ বাংলা চোখ খুলে দিয়েছে। তার জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে ধন্যবাদ জানাই।

এদিকে তৃণমূলের ক্ষমতাধীন পুরুলিয়া পৌরসভা(Purulia municipality under TMC power) থেকে জাতীয় সরোবর সাহেব বাঁধের ফাইল লোপাট হয়ে গেছে। জাতীয় সরোবরের ফাইল লোপাটের ঘটনা পুরুলিয়া পৌরসভার বর্তমান বোর্ডের প্রশাসক নবেন্দু মাহালি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানান। তিনি প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ডি পি আর ছাড়া কোনো নথি বা ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ফাইল লোপাটের তদন্ত চেয়ে এদিন পৌরসভা প্রাঙ্গনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। সাহেব বাঁধের জন্য বরাদ্দ টাকা দিয়ে তৃণমূল নেতারা নিজেদের পকেট ভরছে বলে দাবী বিজেপি নেতৃত্বের। উল্লেখ্য ২০১০ সালের ২৫সে এপ্রিল পুরুলিয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পুরুলিয়া পৌরসভার অধীন সাহেব বাঁধ জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি পায়। যার ফলক সাহেব বাঁধের পাড়ে এখনও জ্বলজ্বল করছে।

আরও পড়ুন- Saheb Bandh Corruption: এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবর হাতিয়ার, আন্দোলনে পুরুলিয়ার বিজেপি

এদিকে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাগমুন্ডি বিধানসভার তৎকালীন বিধায়ক নেপাল মাহাতো এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের উদ্যোগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী নম নারায়ণ মিনা ঋষি নিবারণ সায়ের তথা সাহেব বাঁধকে জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি দেন। তারপর থেকে কেন্দ্র সরকারি অর্থানুকূল্যে সাহেব বাঁধকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়।এদিকে সুবিশাল এই জলাধারের রয়েছে একটি বড় ইতিহাস। ব্রিটিশ শাসনকালে ১৮৪৩ সালে পুরুলিয়া শহর জুড়ে জল সমস্যা সমাধানের জন্য এই জলাধারের খনন শুরু করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। কর্নেল টিকলে সাহেব জেলের কয়েদিদের দিয়ে জলাধারের খনন কার্য্য শুরু করান। ৫০ একর জমির ওপর পাঁচ বছর ধরে চলে খননকার্য। সেই কাজ সম্পন্ন হলে কর্নেল টিকলে সাহেবের নাম অনুসারে এই বাঁধের নাম দেওয়া হয় সাহেব বাঁধ।

আরও পড়ুন- সিঙ্গুরের পর বিজেপি-র নিশানায় এবার নবান্ন, কিষাণ মোর্চার শেষদিনেই বড় বার্তা শুভেন্দু-সুকান্তর

ভারত স্বাধীন হলে পুরুলিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামী ঋষি নিবারণ চন্দ্র ঘোষের নাম অনুসারে সাহেব বাঁধের নামকরণ হয় নিবারণ সায়ের। বর্তমানে জেলার পর্যটন মানচিত্রেও জায়গা করে নিয়েছে পুরুলিয়া শহরের সাহেব বাঁধ। শীতকালে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখিদের আগমনে সাহেব বাঁধ আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। দূরদূরান্তের পর্যটকরা পুরুলিয়া বেড়াতে এসে সাহেব বাঁধ না দেখে ফেরেন না। জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি পাওয়া সেই সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল পৌরসভা থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে জেলার রাজনীতিতে। যার প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন পৌর নির্বাচনেও। সেকথা বর্তমানে ভালো মতোই টের পাচ্ছে তৃণমূলও(TMC)।