সংক্ষিপ্ত

 বিজেপির দক্ষিণ মন্ডল শহর সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারী জানান এশিয়ানেট নিউজ বাংলায় প্রথম সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত  ফাইল নিখোঁজের খবর প্রকাশিত হয়।

এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের।পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধের (Saheb Bandh) জাতীয় সরোবর (National Dam) সংক্রান্ত ফাইল উধাও -এই খবর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা পোর্টালে। তারপর থেকেই কিছুটা হলে চাপ বাড়ছে  পুরুলিয়া (Purulia) পৌরসভার ওপর।  অন্যদিকে এই চাঞ্চল্যকর খবরকে হাতিয়ার করে পৌরসভা নির্বাচনের আগে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি (BJP) শিবির। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া শহর বিজেপির পক্ষ থেকে পুরুলিয়া পৌরসভায় দেখানো হয় বিক্ষোভ।পুরুলিয়া শহর বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা, বিজেপি নেতা রাজেশ কাটারুকা বিজেপি মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী কাবেরী চ্যাটার্জী সহ অন্যান্যরা।

 বিজেপির দক্ষিণ মন্ডল শহর সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারী জানান এশিয়ানেট নিউজ বাংলায় প্রথম সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত  ফাইল নিখোঁজের খবর প্রকাশিত হয়।এত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পৌরসভা থেকে উধাও হয় কিভাবে? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। পুরসভার এই গাফিলতির বিরুদ্ধেই তাদের  এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। এই ফাইল উধাও রহস্য উন্মোচন না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে। এই খবর প্রকাশ করার জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা তাদের চোখ খুলে দিয়েছে।তার জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

 তৃণমূলের ক্ষমতাধীন পুরুলিয়া পৌরসভা থেকে জাতীয় সরোবর সাহেব বাঁধের ফাইল লোপাট হয়ে গেছে। জাতীয় সরোবরের ফাইল লোপাটের ঘটনা পুরুলিয়া পৌরসভার বর্তমান বোর্ডের প্রশাসক নবেন্দু মাহালি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানান। তিনি প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ডি পি আর ছাড়া কোনো নথি বা ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ফাইল লোপাটের তদন্ত চেয়ে এদিন পৌরসভা প্রাঙ্গনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।সাহেব বাঁধের জন্য বরাদ্দ টাকা দিয়ে তৃণমূল নেতারা নিজেদের পকেট ভরছে বলে দাবী বিজেপি নেতৃত্বের। 

উল্লেখ্য ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল পুরুলিয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পুরুলিয়া পৌরসভার অধীন সাহেব বাঁধ জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি পায়। যার ফলক সাহেব বাঁধের পাড়ে এখনও রয়েছে।পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাগমুন্ডি বিধানসভার তৎকালীন  বিধায়ক নেপাল মাহাতো এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের উদ্যোগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী নম নারায়ণ মিনা ঋষি নিবারণ সায়ের তথা সাহেব বাঁধকে জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি দেন। তারপর থেকে কেন্দ্র সরকারি অর্থানুকূল্যে সাহেব বাঁধকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়।সুবিশাল এই জলাধারের রয়েছে একটি ইতিহাস।ব্রিটিশ শাসনকালে ১৮৪৩ সালে  পুরুলিয়া শহর জুড়ে জল সমস্যা সমাধানের জন্য এই জলাধারের খনন শুরু করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার।কর্নেল টিকলে সাহেব জেলের কয়েদিদের দিয়ে  জলাধারের খনন কার্য্য শুরু করান। ৫০একর জমির ওপর পাঁচ বছর ধরে চলে খনন কার্য্য।খনন কার্য সম্পন্ন হলে কর্নেল টিকলে  সাহেবের নাম অনুসারে নাম দেওয়া হয় সাহেব বাঁধ। ভারত স্বাধীন হলে পুরুলিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামী ঋষি নিবারণ চন্দ্র ঘোষের নাম অনুসারে সাহেব বাঁধের নামকরণ হয় নিবারণ সায়ের। বর্তমানে পর্যটন মানচিত্রেও জায়গা করে নিয়েছে পুরুলিয়া শহরের সাহেব বাঁধ। শীতকালে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখিদের আগমনে সাহেব বাঁধ আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। দূরদূরান্তের পর্যটকরা পুরুলিয়া বেড়াতে এসে সাহেব বাঁধ না দেখে ফেরেননা। জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি পাওয়া সেই সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল পৌরসভা থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে জেলার রাজনীতিতে।যার প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন পৌর নির্বাচনেও। বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা জানান। পৌরসভা থেকে ফাইল উধাও মানেই নিশ্চয় দুর্নীতি রয়েছে। কেন্দ্র সরকার জাতীয় সরোবরের জন্য অর্থ বরাদ্দ করছে।অথচ এখন জানা যাচ্ছে জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল উধাও।তার মানে আদৌও সাহেব বাঁধ জাতীয় সরোবর হয়েছিল কি না সেটাই পরিষ্কার নয়।

Mamata On Durga Puja: 'বিলম্বিত বার্তা', মমতা শুভেচ্ছা জানালেও অভিষেকের সুর অনেক চড়া

Mamata On COVID 19: 'আরও ২-৩ মাস কষ্ট করতে হবে', করোনাভাইরাস নিয়ে বার্তা মমতার