সংক্ষিপ্ত

অন্তিম দিনেও শুভেন্দুই ছিলেন এই মঞ্চের প্রধান আকর্ষণ। এই মঞ্চ থেকেই আগামী দিনের কিষান আন্দোলনের পটরেখা তৈরি করে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বাম শাসিত বাংলায় সিঙ্গুরকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল। এবার সেই একই অস্ত্র নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Trinamool leader Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে নেমেছে বিজেপি। এদিকে বৃহঃস্পতিবার বিজেপির কিষান মোর্চার(BJP's Kisan Morcha) এই তিনদিন ব্যাপী আন্দোলনের শেষদিন ছিল। অন্তিম দিনেও শুভেন্দুই(BJP leader Shuvendu Adhikari) ছিলেন এই মঞ্চের প্রধান আকর্ষণ। এই মঞ্চ থেকেই আগামী দিনের কিষান আন্দোলনের পটরেখা তৈরি করে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(BJP state president Sukanta Majudar)। আগামী দিনে কিষান মোর্চার নেতৃত্বেই নবান্ন অভিযান হতে চলেছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। দলের পরবর্তী কর্মসূচি আপাতত কিষান মোর্চার কাঁধে ভর দিয়েই সেটা এদিন সেটা স্পষ্ট করে দেন তিনি।

অন্যদিকে শুভেন্দু এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "ভাববেন না যে এখানেই এই আন্দোলন শেষ হয়ে গেল। আমরা গ্রামের মানুষ। জমিতে বীজ পোঁতার আগে লাঙ্গল দিয়ে প্রথমে জমিটা চেরা হয়। গ্রাম্যভাষায় তাকে বলে আগুয়াচিরা। আর এই তিনদিনের আন্দোলন আসলে সেই আগুয়াচিরা। এবারে আমরা বীজ ছড়াবো তার সঙ্গে জল দেব। চারা তৈরি হবে। চারার আশপাশে ঘাস আবর্জনা মুক্ত করব। প্রয়োজনে কীটনাশক দেব। তবেই তো ফল ফলবে। সেটাই আমরা এখানে করলাম। পাশাপাশি রাজ্য সরকার কে হুঁশিয়ার দিয়ে জানান নবান্নের ১৪ তলা কিভাবে নাড়াতে হয় কৃষকরা তা জানেন।

আরও পড়ুন- কলকাতার মতো উন্নয়ন কোথাও হয়নি, ওদের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই, মমতার নিশানায় কেন্দ্র

এদিকে আগামী ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর কিষান মোর্চার নেতৃত্বে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে বিডিওকে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচিও নিয়ে ফেলেছে বিজেপি। সঙ্গে থাকবেন মহিলা কর্মীরা। তাঁরা শঙ্খ বাজাবেন। বিডিওর কানে আন্দোললের আঁচ পৌঁছে দিতেই বিজেপি-র এই প্রস্তুতি। এরপর আগামী জানুয়ারি মাসের থেকে ১০ জানুয়ারি জেলায় জেলায় কিষান মার্চ হবে। সুকান্ত জানান, কিষান মার্চের প্রথম দিন জানুয়ারি রাজ্যের তিনটি কৃষি প্রধান জায়গা ঘাটাল, বর্ধমান এবং আরামবাগে নেতৃত্বে তিনি ছাড়াও থাকবেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। এই কিষানমার্চ শেষ হবে উত্তরবঙ্গ দিয়ে। শেষ দিনে মালদহ এবং জলপাইগুড়িতে থাকবেন শুভেন্দু এবং সুকান্ত। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আরও জানান ১০ তারিখেই সম্ভবত 'যুদ্ধে'র তারিখ ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ কবে নবান্ন অভিযান করবে বিজেপি-র কিষাণ মোর্চা সেটা ওই দিনই ঠিক হয়ে যাবে। যার শুরুটা হবে সম্ভবত সাতরাগাছি থেকে, শেষ হবে নবান্নতে।