সংক্ষিপ্ত
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যে ১০৮টি পুরসভা নির্বাচন যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা হয় তার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে যাবেন। আর আজ সুপ্রিম কোর্টে সেই মর্মে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভোটে বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) দাবি জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। কিন্তু, সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) দিয়েই ভোট হয়েছে রাজ্যে। এবার ১০৮টি পুরসভার (West Bengal Municipal Election 2022) ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানায় তারা। এমনকী, সেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) পর্যন্ত। যদিও হাইকোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। আর সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গেল বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যে ১০৮টি পুরসভা নির্বাচন যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা হয় তার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে যাবেন। আর আজ সুপ্রিম কোর্টে সেই মর্মে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট আজ জানিয়ে দিয়েছে আগামীকাল এই মামলার শুনানি হবে।
যদিও সুপ্রিম কোর্ট একথা জানিয়ে দেওয়ায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যে। কারণ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভা নির্বাচন হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, ১০৮ পুরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ। মোট ৪৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রতি বুথে থাকবে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। আর এখানেই আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। শীর্ষ আদালতে বিজেপির তরফে আবেদন করা হয়েছে, ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তারই বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে বিজেপি। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হবে। ফলে এবার শীর্ষ আদালত কী রায় দেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।
আরও পড়ুন- বিধানসভার অধিবেশন রাত ২টোয়, টুইট করে রাজ্যপাল বললেন 'নজিরবিহীন'
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, যে সব জেলায় ভোট রয়েছে, সেখানকার পরিস্থিতি ঠিক কেমন, তা খতিয়ে দেখেই নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা কতটা রয়েছে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এনিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকে। বৈঠকে আধাসেনা মোতায়েন নিয়ে লিখিত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে নির্বাচনের দিন যেসব জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটবে তার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি ভোটে মোতায়েন করা না হয় তাহলে কেন মোতায়েন করা হচ্ছে না সেই বিষয়টি লিখিত আকারে হাইকোর্টকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন- আনিস খুনের প্রতিবাদে উত্তাল আমতা থানা, গার্ডরেল তুলে ছুড়ে ফেলল বিক্ষোভকারীর দল