সংক্ষিপ্ত
রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে ভালো হত। সুকান্ত মজুমদার হঠাৎ করেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক।
অন্তর্কলহ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বঙ্গ বিজেপির। বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির যতটা ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন ভোটে হারের পর ক্রমশই প্রকাশ পাচ্ছে মলিন দশা। একের পর এক বিধায়ক সংসদ দলত্যাগ করেছেন। যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসেষ সম্প্রতী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দলবদলে বিজেপি যে যেথেষ্ট ধাক্কা খেয়েছে তা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি রাজ্যবিজেপির সভাপতির পদে রদবদল করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। কিন্তু তাতেও সমস্য়া সমাধান হয়নি। সুকান্ত মজুমদারকে নতুন পদে স্বাগত জানিয়েও কিছুটা হলেও বেসুরো গাইলেন কৃষ্ণ কল্যানী।
কৃষ্ণ কল্যানী রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা। তাঁর স্পষ্ট কথা এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে তারপরই রাজ্যসভাপতির পদে পরিবর্তন আনা যেত। সেক্ষেত্রে বিজেপির ভালো হত বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই এইপদ পরিবর্তন করা হয়েছে। তাঁর কথায় দিলীপ ঘোষকে যে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটা ঘোষণার আগে পর্যন্ত তিনি নিজেও জানতেন না। 'দিলীপদার হয়তো খারাপ লেগেছে', এমন মন্তব্যও করেন তিনি। পুরোটাই জানতে হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের কাছা থেকে। তাঁর দাবি দলের স্বার্থেই একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের হাতেই দলের দায়িত্ব গেলে ভালো হত। সুকান্ত মজুদারের অভিজ্ঞতা কতটা - সেই প্রশ্নও তুলেছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। কাকতালীয় হলেই সুকান্ত মজুমদারের মত কৃষ্ণ কল্যানীও উত্তরবঙ্গের মানুষ। যাইহোক কৃষ্ণ কল্যানী জানিয়েছেন তিনি নতুন সভাপতিকে সবরকম সাহায্য করবেন। নতুর দায়িত্বের জন্য তাঁকে স্বাগতও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন সুকান্ত মজুমদার কীভাবে গোটা পরিস্থিতি সামলাবেন সেটা তারই ব্যাপার। কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়েছেন বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যাক্ষভাবে যুক্তদের সঙ্গেও কোনও আলোচনা করা হয়নি। যাতে কিছুটা হলেও অবাক হয়েছে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী করতে চাইছে সেটা আগামী দিনে বোঝা যাবে। পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার কী করবেন সেটাই আগামী দিনে বোঝা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের সংকট নিয়ে মোদী-ম্যাক্রোঁর কথা, আলোচনা প্রশান্ত মহাসগরীয় এলাকা নিয়ে
EDর কয়লা কেলেঙ্কারি সমন মামলা, TMC নেতা অভিষেক-রুজিরাকে রক্ষাকবচ দিল না দিল্লি হাইকোর্ট
ভোটের আগে যখন তৃণমূল থেকে এক ঝাঁক নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল তখনও বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের অভিযোগ ছিল তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই দলে নেওয়া হচ্ছে দলবদলুদের। যা নিয়ে ক্ষোভ অসন্তোষ চেপে রাখেনি অনেকে। বিধানসভা ভোটে হারের পরেই ছবিটা বদলে যায়। অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসে। তাকে রাজ্য বিজেপি পুরনো নেতারা সরাসরি দায়ি করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। সুকান্ত মজুমদারের ক্ষেত্রেও ঠিক সেই একই ঘটনা ঘটতে চলছে বলে অভিযোগ বিজেপির একটা অংশের।