সংক্ষিপ্ত
এদিন আচমকাই তৃণমূল নেতাদের হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। এরপরই থানায় যান সায়নী ঘোষ এবং কুনাল ঘোষেরা (Kunal Ghosh)। যা নিয়ে ফের উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি।
বারেবারে ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল-কংগ্রেস (TMC)। পুরভোটের প্রচারে অংশ নিতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে ত্রিপুরায় গিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, ফিরহাদ হাকিম, কুনাল ঘোষ, সায়নী ঘোষেরা(Saayoni Ghosh)। আগামী ২৫ তারিখ রয়েছে নির্বাচন। কিন্তু তার আগে এদিন আচমকাই তৃণমূল নেতাদের হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। এরপরই থানায় যান সায়নী ঘোষ এবং কুনাল ঘোষেরা (Kunal Ghosh)। যা নিয়ে ফের উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্যে সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে(sukanta majumdar)।
বিগত কয়েকদিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। গতকালই আগরতলা পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রনগরে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের হয়ে প্রচারে করছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়। সেখানেও বাঁধে উত্তেজনা। এরপর ত্রিপুরায়(tripura) গিয়েছে সায়নীরা। কিন্তু সেখানেও বেধেঁছে গোল। ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, শনিবার রাতে সায়নী ঘোষের গাড়ির ধাক্কায় একজন আহত হয়েছেন। সেই সূত্রেই তাঁকে খুঁজতে হোটেলে হাজির হয় পুলিশ। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, প্রশাসনকে হাতিয়ার করেই তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। অভিষেকের প্রচার ঠেকাতেই এক কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
আরও পড়ুন-বিজেপিকে ঠেকাতে মমতার সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত CPIML-র, দীপঙ্করের বার্তায় জোর জল্পনা
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির(bjp) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সুস্মিতা, সায়নী,কুণাল এরা কেউ ত্রিপুরার অধিবাসী নয়। স্বাভাবিক ভাবে এখন ত্রিপুরার মানুষের মনে হচ্ছে,এরা বহিরাগত। এর আগে আমরা দেখেছি,তৃণমূলের নেতৃত্বরা বলেছেন তারা পকেটে বুলেট নিয়ে ঘোরেন। তাই ত্রিপুরার মানুষ ভয় পেয়েছে। ঝামেলা তো হয়েইছে ওদের কারণে। তাই পুলিশ তাদের ডেকে নিয়ে গিয়েছে।” এদিকে ত্রিপুরায় পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, “বাংলায় একটা কথা আছে, চোরের মন পুলিশ পুলিশ। এই বাংলায় পুলিশকে রাজনৈতিক কাজে ব্যাবহার করা হয়।করে আমাদের সরকার। তাই তাদের মনে হচ্ছে ত্রিপুরাতেও একই কাজে পুলিশকে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-টোটো চড়েই চিনুন শহরের অলি-গলি, শুনুন ইতিহাস, বালুরঘাটের ইতিহাস চেনাতে আসছে নতুন ‘কথক’
অন্যদিকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উত্থান প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় সুকান্ত মজুমদারকে। ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল ত্রিপুরায় প্রার্থী দিতে পারছে না। বাংলা থেকে বাস ভরে লোক নিয়ে গিয়েও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মতো বিরাট নেতার জনসভায় ৫০০ লোক হচ্ছে না। ওখানে ওদের অস্তিত্বই নেই। ত্রিপুরায় বিজেপির আসল বিরোধী কেউ হলে তারা হল সিপিএম।”