সংক্ষিপ্ত

  • বিধানসভা ভোটের মুখে শক্তি বাড়ছে তৃণমূলের
  • পুরনো দলে ফিরলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক
  • লোকসভা ভোটের সময় বিজেপিতে যোগ দেন তিনি
  • ভাঙন অব্যাহত গেরুয়াশিবিরে

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মোহভঙ্গ! বিধানসভা ভোটের আগে অনুগামীদের নিয়ে ফের তৃণমূলের ফিরলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। দলের কার্যালয়ে বিধায়ক-সহ বাকীদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন শাসকদলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। ভাঙন অব্যাহত বিজেপিতে।

আরও পড়ুন: সিবিআই তদন্তের দাবিকে সমর্থন, বিশ্বভারতীকাণ্ডে মুখ খুললেন অনুব্রত

প্রথমে কংগ্রেস, তারপর তৃণমূল। বাঁকুড়ার জেলার পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদদের অন্যতম তুষারকান্তি ভট্টাচার্য।  টানা ২৫ ছিলেন বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত পুরপ্রধানের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।  এরপর ১৯৯৮ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি হন তুষারবাবু। সেই পদেও ছিলেন দীর্ঘদিন। মাঝে কয়েক বছরের বিরতি, ২০১৬ সালে বাম ও কংগ্রেস জোটপ্রার্থী হিসেবে বিষ্ণুপুর থেকে বিধায় নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু ২০১৯-র লোকসভা ভোটের তৃণমূল ছেড়ে তুষারকান্তি ভট্টাচার্য যোগ দেন বিজেপিতে। শুক্রবার ফের ফিরলেন পুরনো দলেই। বছর খানেকের মধ্যে ফের দলবদলের কারণটা কী? বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার উন্নয়নের শরিক হতেই তৃণমূল ফিরলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা মানুষের পাশে থেকে কাজ করেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এত জনপ্রিয় তিনি। 

আরও পড়ুন: মাথার চুল পড়ে যাওয়ায় লোকের 'ন্যাড়া' টিটকিরি, অপমানে আত্মঘাতী কলেজ ছাত্র

উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রই হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। গেরুয়াশিবির প্রার্থী হিসেবে ফের জিতেছেন তিনি। ফলে বিধানসভা ভোটের ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। পুরনো কর্মীদের দলের ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।