সংক্ষিপ্ত
- ভোটের বাজারে জয় শ্রীরাম ইস্যুকে হাতিয়ার বিজেপি-র
- এবার মমতাকে চ্যালেঞ্জ বিজেপি সভাপতির
- ভারতী ঘোষের সমর্থনে ঘাটালে সভা
- ভারতী জিতবেনই, দাবি শাহের
ভোটের শেষ দু' দফায় জয় শ্রীরাম বিতর্ককে আরও উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি শিবির। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরে বাংলায় প্রচারে এসে এবার সরাসরি জয় শ্রীরাম নিয়ে মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সভা থেকে তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, "জয় শ্রীরাম বলবই, ক্ষমতা থাকলে আটকান।" এ দিন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের সমর্থনে সভা করতে এসেছিলেন বিজেপি সভাপতি। এক সময়ে মমতার অন্যতম ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসার ছিলেন ভারতী। সেই ভারতীই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। অমিত শাহ এ দিন দাবি করেন, মমতার বেআইনি নির্দেশ মানতে চাননি বলেই প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসারের উপরে এত রাগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর।
বিজেপি শিবির অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশ থেকে কয়েকজনকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুনে ক্ষুব্ধ হন ওঠেন মমতা। সেই ঘটনাকেই ভোটের ময়দানে হাতিয়ার করছে বিজেপি। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, বিকৃত ভিডিও নিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে বিজেপি।
অন্যান্য সভার মতো এ দিনের সভা থেকেও ফের বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ, কর্মসংস্থানের অভাব নিয়ে সরব হন অমিত শাহ। তার সঙ্গে টেনে এনেছেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিটের ছাত্র মৃত্যুর প্রসঙ্গ। দাবি করেছেন, এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এই ঘটনায় দোষীদের জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে বিজেপি সরকার। এক নজরে দেখে নিন মমতা এবং তৃমমূলকে আক্রমণ করে কী বললেন অমিত শাহ-
- শ্রী রামের নাম ভারতে না নিলে কি পাকিস্তানে নেওয়া হবে?
- বাংলার সংস্কৃতি ভুলেছেন মমতা। ভারতের আর কোথাও শ্রী রামের নাম বলতে গেলে বাধা পেতে হয়? রামের নাম বলবই, ক্ষমতা থাকলে আটকান।
- দেশের সর্বত্র নরেন্দ্র মোদীর ভাল কাজের উপরে ভোট হচ্ছে. আর বাংলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য নির্বাচন চলছে।
- যত অত্যাচারই করুন, মিথ্যে প্রচার করুন না কেন দিদি, তেইশটির বেশি আসন পাওয়া আটকাতে পারবেন না।
- এখানকার ভিড় বলে দিচ্ছে, ভারতী ঘোষ বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়ী হবেন. মমতার বেআইনি নির্দেশ মানতে চাননি বলেই ভারতীর উপরে এত রাগ মমতার।
- একবার নরেন্দ্র মোদীকে তেইশটি আসন বাংলা থেকে দিন, এমনিতেই মমতার অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবেন।
- মমতা দিদি বলছেন নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী মানেন না. উনি কি সংবিধান মানেন না? মানুষ যাকে বাছবেন, তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।
- দেশের জনতা নির্বাচন করলে নরেন্দ্র মোদীই ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন. পাঁচ বছরের প্রস্তুতি নিয়ে নিন, ফের নরেন্দ্র মোদীই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
- দুর্নীতির সমস্ত টাকা ভাইপোর কাছে যাচ্ছে, আর সেই টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে।
- ইসলামপুরে ছাত্ররা বাংলা পড়তে চেয়েছিল, মমতা উর্দু শিক্ষক পাঠিয়েছেন. প্রতিবাদ করায় দুই ছাত্রকে গুলি করে মারা হল।
- আপনার সরকার আর কয়েকদিনের অতিথি. ছাত্রদের যারা গুলি করে, তাদের জেলে পাঠানোর কাজ বিজেপি-ই করবে।
অমিত শাহ এ দিন আরও দাবি করেন, ঘাটাল কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জিতবেন ভারতী ঘোষ।. তিনি বলেন, "এত মানুষের ভিড়ই বলে দিচ্ছে যে বিপুল ভোটে জিতবেন ভারতী।"