সংক্ষিপ্ত
- নজরে একুশের বিধানসভা ভোটে
- ঝটিকা সফরে উত্তরবঙ্গে জেপি নাড্ডা
- করোনা কমলেই কার্যকর হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন
- আশ্বাস বিজেপি-এর সর্বভারতীয় সভাপতির
কেন্দ্রের মোদি সরকার এ রাজ্যের মানুষের অভাব-অভিযোগ দূর করবে। করোনার প্রকোপ কমলেই কার্যকর করা হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। পুজোর মুখে ঝটিকা সফরে উত্তরবঙ্গে এসে একথা জানিয়ে গেলেন বিজেপি-এর সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিভেদের রাজনীতির অভিযোগ তুলে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
আরও পড়ুন: পয়লা ডিসেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বাড়ল আইআইটি ও এনআইটি-তে ভর্তির মেয়াদ
স্রেফ উত্তরবঙ্গেই নয়, লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে অভূতপূর্ব ফল করেছে বিজেপি। একুশের বিধানসভা ভোটে কী হবে? বাংলার দিকে নজর পড়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের। ২২ অক্টোবর, ষষ্ঠীর দিনে ভার্চুয়ালি এ রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এমনকী, দিল্লির বাসভবন থেকে ধূতি-পাঞ্জাবি পরে অংশ নেবেন মাতৃবন্দনায়। বিজেপির তরফে সেই অনুষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তার আগে সোমবার একদিনের ঝটিকা সফরে উত্তরবঙ্গে ঘুরে গেলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
দিনভর ছিল ঠাসা কর্মসূচি। দিল্লি থেকে শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন সকালে। এরপর ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেপি নাড্ডা। সেখান থেকে পুজো দিতে চলে যান আনন্দময়ী কালীবাড়িতে। দুপুরে সেবকে রোডের একটি হোটেলে দলের সাংসদ ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেন বিজেপি-এর সর্বভারতীয় সভাপতি। দেখা করেন উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। জেপি নাড্ডা বলেন,'সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তো আগেই পাশ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু সেটা কার্যকর করলেই হল। এর জন্য আইনের বিধিও তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু, করোনার কারণে সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। এই মহামারীর প্রভাব কমলেই বিধি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আরও আপনারাও খুব তাড়াতাড়ি এর সুবিধা পাবেন।'
আরও পড়ুন: দুর্গা পুজোয় দীঘায় পর্যটকদের ভিড়ের সম্ভবনা, তাই নিয়েই ঘুম উড়েছে প্রশাসনের
এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, 'মমতাদির সরকার বিভাজনের রাজনীতি করে বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিলেও সেগুলি এই রাজ্যে চালু করতে দেওয়া হয়নি। রাজনীতির স্বার্থে গরিব কল্যাণে বাধা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের জেদের ফলে কৃষকনিধি সম্মান, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাননি এখানকার মানুষ।' তাঁর আশ্বাস, বাংলায় যা হয়নি, তার তালিকা দিন। মোদি সরকার সব দাবি পূরণ করবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে একমাসের মধ্যে রাজ্যে চালু হয়ে যাবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পও।'