সংক্ষিপ্ত
- বাজি কারখানার পর এবার আমবাগান
- ভয়াবহ বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়াল মালদহে
- বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ২ দুষ্কৃতী
- তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ
নৈহাটির পর এবার মালদহ। মধ্যরাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটল আমবাগানে! আতঙ্ক ছড়াল মানিকচকের কাকরিধারা সিংপাড়া এলাকায়। বিস্ফোরণের গুরুতর আহত হয়েছেন দু'জন দুষ্কৃতী। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেকথা স্বীকারও করেছেন ধৃতেরা। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শীতের রাতে তখন ঘুমোচ্ছিলেন সকলেই। রবিবার আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে মানিকচকের কাকরিধারা সিংপাড়া এলাকা। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এলাকার একটি আমবাগানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, সিটু মণ্ডল ও কৃষ্ণ চৌধুরী নামে দুই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাদের ফেলে রেখেই বেশ কয়েকজন বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় মানিকচক থানায়। ওই আমাবাগানটি ঘিরে ফেলে পুলিশ, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক বোমাও। এদিকে ততক্ষণে আহত অবস্থাতেই চম্পট দিয়েছে সিটু ও কৃষ্ণও। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তারা মানিকচক গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের বাঘ এল লালগড়ে, এবার বাঘিনীর সঙ্গে থাকতে পারে শাবকও
জানা গিয়েছে, সিটু মণ্ডল ও কৃষ্ণ চৌধুরীর বাড়ি মালদহে ভূতনীর চর এলাকায়। দু'জনকে এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। সোমবার সকালে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অপরাধমূলক কাজের জন্য় আমবাগানে বোমা মজুত করে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে যখন বোমা বাঁধার কাজ চলছিল, তখন অসাবধানতায় বিস্ফোরণ ঘটে। জেরায় ধৃতেরা সেকথা স্বীকারও করেছে বলে দাবি পুলিশের। দিন কয়েক আগে উত্তর চব্বিশ পরগণার নৈহাটিতে একটি বাজি কারখানার ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের মারা যান ৫ জন। সোমবার সকালে এলাকায় পুলিশি অভিযোগে বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। পুলিশের ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।