সংক্ষিপ্ত

 

  • মন্দিরের সামনে 'পশুর দেহাবশেষ'
  • প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 
  • পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ পুলিশ
  • অগ্নিগর্ভ ইসলামপুর

'অপবিত্র' হয়ে গিয়েছে মন্দির। এই অভিযোগ তুলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোষীদের শাস্তির দাবিতেও সরব হন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষপর্যন্ত লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেলও। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ নাকি গুলিও চালিয়েছে! শিবরাত্রির দিন ধুন্ধুমারকাণ্ড উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। 

আরও পড়ুন: জুটমিল শ্রমিকদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র শ্যামনগর, ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকালে। ইসলামপুরের পাঞ্জিপাড়ার শান্তি কলোনিতে একটি মন্দির রয়েছে। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকালে এলাকায় বেশ কয়েকজন মন্দিরে পুজো দিতে যান বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মন্দিরের সামনে নাকি পশুর দেহাবশেষ পড়েছিল! ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারা ঘটাল এমন কাণ্ড? দোষীদের শাস্তির দাবিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকালের ব্যস্ত সময়ে অবরোধে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। খবর পেয়ে পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। 

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে হিন্দিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত, বিতর্ক তুঙ্গে শান্তিনিকেতনে

প্রথমে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তখন পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাবেন তাঁরা। এদিকে অবরোধে জেরে ততক্ষণ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। আর কোনও উপায় ছিল না, বাধ্য হয়েই অবরোধ হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেলও। আর তাতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তবে উত্তেজনা ছিল যথেষ্টই, ইসলামপুরের পাঞ্জিপাড়ায় শান্তিকলোনীতে টহলদারি শুরু করে পুলিশ।