সংক্ষিপ্ত

'আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ' বগটুই গণহত্যা মামলায় আদালতে পেশের সময় ফের এমনটাই দাবি করলেন আনারুল হোসেন।  

'আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ' বগটুই গণহত্যা মামলায় আদালতে পেশের সময় ফের এমনটাই দাবি করলেন আনারুল হোসেন। বুধবার দুপুরে ফেরহ তাঁকে রামপুরহাট আদালতে পেশ করে সিবিআই। আর তখনই এমন দাবি করেন বগটুই গণহত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। এদিন আদলতে পলিগ্রাফ টেস্ট কারনোর দাবিতে সিবিআই-র আবেদনের শুনানি ছিল।

 বগটুই গণহত্যা মামলায়  বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ, প্রধান অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে রামপুরহাট আদালতে পেশ করে সিবিআই। তখন আনারুল সাংবাদিকদের সামনে বলেন, 'আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। 'এর আগেও একই দাবি করেছিলেন আারুল। তার নিশানা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। যদিও কারও নাম মুখে আনেননি তিনি। সিবিআই সূত্রের খবর, ২১ মার্চ রাতে তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বহিষ্কৃত সভাপতি আনারুল শেখের নির্দেশেই বগটুই গ্রামে আগুন লাগিয়েছিল আজাদ শেখ। রীতিমতো নাকি পেট্রোলপাম্প থেকে ডিজেল কিনে আগুন লাগানো হয় সোনা শেখের বাড়িতে।

আরও পড়ুন, 'সিবিআই কী, না জেনেই দাবি তুলেছি', ময়নাগুড়িতে আইপিএস-র নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

  বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন এবং তার পরবর্তী ঘটনায় আগুনে পুড়ে কয়েক জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই আনারুলের নাম উঠতে শুরু করে। যাঁরা পুড়ে মারা গিয়েছেন তাঁদের আত্মীয়দের দাবি, প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে আনারুলের। আরও দাবি, অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রাণে বাঁচানোর আর্তি জানিয়ে অনেকেই ফোন করেন আনারুলকে। কিন্তু অভিযোগ, তিনি সাড়া দেননি। এমনকি স্থানীয় থানাতেও তিনি বিষয়টি জানাননি।

আরও পড়ুন, টেট দুর্নীতিতে নাম জড়ালো ব্রাত্য বসুর, হাইকোর্টে ফের মামলা দায়ের

বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে ঘটনায় অভিযুক্ত ১৯ জনকে ক্যাম্প অফিসে নিয়ে আসে সিবিআই। সেখানে তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন গোয়েন্দারা। আর সেখান থেকেই একাধিক চাঞ্চল্যকর উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, বগটুই হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারাদের বয়ানের উপর গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনায় রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে সাসপেন্ড হওয়া ত্রিদিব প্রামাণিককেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। এছাড়া মিহিলাল এবং শেখলালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় তদন্তকারীর দল। আর এরপরেই মোবাইলের ছবি-র মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-র হাতে।

আরও পড়ুন, 'মানসিক অবসাধে ভুগছে শুভেন্দু', 'মমতার প্রধানমন্ত্রীত্ব' ইস্যুতে পাল্টা তোপ কুণালের

প্রসঙ্গত, আনারুল হোসেনের গ্রেফতারের পরেই একটি চিঠি সামনে আসে। সেই চিঠিতে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সই রয়েছে। লেখা রয়েছে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত যেন পদ থেকে না সরানো হয় আনারুল হোসেনকে। আনারুল হোসেন রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি। তাঁকে সেই পদেই রেখে দেওয়ার আর্জি ছিল আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। কিন্তু অনুব্রত জানিয়েছেন আনারুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তিনি পেয়েছিলেন। তাই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধেই পদে বাহাল রাখা হয়েছিল আনারুলকে। অন্যদিকে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি দল চেয়েছিল তাই এই সিদ্ধান্ত।