সংক্ষিপ্ত

  • ভাটপাড়া পুরসভা নিয়ে ফের আইনি লড়াই
  • প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আপত্তি খারিজ আদালতের
  • রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা হাইকোর্টের
  • তিন সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি

রুশি পাঁজা, কলকাতা:প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আপত্তি ধোপে টিকল না। উত্তর ২৪ পরগণার ভাটপাড়া পুরসভার নিয়ে আদালতে স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। আপাতত তিন সপ্তাহের জন্য পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যানকেই 'কেয়ারটেকার আডমিনিস্ট্রেটর'-এর স্বীকৃতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে কলকাতা পুরসভার মতোই প্রশাসক হিসেব কাজ চালাতে আর কোনও বাধা রইল না ভাটপাড়া পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যানেরও।

আরও পড়ুন: বেসরকারি ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার মূল্য বেঁধে দিল মমতা সরকার, খরচ কমে হল কত

 এ রাজ্যে বেশিরভার পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডেরই মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভোট কবে হবে, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। করোনার সংক্রমণের কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছে নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অন্য পুরসভাগুলি যেভাবে চলছে, ভাটপাড়ার ক্ষেত্রে একই পথে হাঁটে রাজ্য সরকার। মহামারী আইন প্রয়োগ করে উত্তর চব্বিশ পরগণার এই পুরসভাতেও বিদায়ী চেয়ারম্যানকেই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা ও সাংসদ অর্জুন সিং-এর ভাইপো সৌরভ সিং। ভাটপাড়া পুরসভায় যখন বিজেপি ক্ষমতায় ছিলেন, তখন তিনিই ছিলেন চেয়ারম্যান। 

বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মন্থারের এজলাসে। মামলাকারীর আইনজীবী  বিকাশ সিং জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার মতোই ভাটপাড়া পুরসভাতেও 'কেয়ারটেকার আডমিনিস্ট্রেটর' হিসেবে কাজ করবেন বিদায়ী চেয়ারম্যানই। আগামী তিন সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি হবে। এরইমধ্যে আবার আদালতে হলফনামা দেবে রাজ্য সরকার। জবাবি হলফনামা দিতে হবে মামলাকারীরা। 

আরও পড়ুন: অনুমতি দিলেন মমতা, ১ জুলাই থেকে সত্যিই কি চলবে কলকাতা মেট্রো

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর ভাটপাড়া পুরসভার ক্ষমতা দখল নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে রীতিমতো দড়ি  টানাটানি চলে। গত পুরভোটে ভাটপাড়ায় বোর্ড গঠন করেছিল রাজ্যে শাসকদলই। কিন্তু টিকিট না পেয়ে লোকসভা ভোটের মুখে যোগ দেন খোদ পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। এরপর আস্থা ভোটে জিতে ভাটপাড়া পুরসভার দখল নেয় গেরুয়াশিবির। শেষপর্যন্ত চলতি বছরের গোড়ায় আস্থা ভোটে জিতে পুরসভার পুনর্দখল করে তৃণমূল।