সংক্ষিপ্ত
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ১১ জুলাই খুলেছিল এই জুটমিলের গেট। কিন্তু, তারপর এক বছরও কাটল না। শনিবার সকাল থেকে সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় জুটমিলের বাইরে।
বছরের প্রথম দিন (New Year) যখন সবাই আনন্দে গা ভাসিয়েছেন, ঠিক তখনই চন্দননগরে (Chandannagar) বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল (Jute Mill)। চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে (Gondalpara Jute Mill) সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের (Suspension of Work) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আর এভাবে বছরের শুরুর দিন কাজ হারিয়ে রীতিমতো দিশেহারা অবস্থা প্রায় ৪ হাজার শ্রমিকের। এদিকে ২২ জানুয়ারি চন্দননগরে পুরভোট (Chandannagar Municipal Corporation Election) রয়েছে। ঠিক তার কয়েকদিন আগে জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ১১ জুলাই খুলেছিল এই জুটমিলের গেট। কিন্তু, তারপর এক বছরও কাটল না। শনিবার সকাল থেকে সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় জুটমিলের বাইরে। মূলত আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে ওই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে প্রতিদিনের মতোই বছরের প্রথম দিনও কাজ যোগ দিতে জুটমিলে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু, মিলের গেটের বাইরে ওই নোটিশ দেখে তাঁদের মাথায় হাত পড়ে যায়। বছরের শুরুর দিন এই নোটিশ দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন তাঁরা। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে সংসার চলবে, কীভাবে খাবার জুটবে তা কিছুতেই তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না। এক কথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে শ্রমিকদের মাথায়।
আরও পড়ুন- হাওড়া পুরবিল ঘিরে বাড়ছে জটিলতা, যাবতীয় তথ্য চেয়ে এজি-র সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চান রাজ্যপাল
এদিকে এই নোটিশ দেখে ক্ষোভে ফেটে পরে সকালের শিফটে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিল বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ। যদিও মিল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, একদিকে পুঁজির অভাব আর অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দামে কাঁচা পাট কিনতে হচ্ছে। যা কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছে না গোন্দলপাড়া মিল কর্তৃপক্ষের তরফে। সেই কারণে জুটমিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে হুগলি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, "এই এলাকায় অবাঙালির সংখ্যা সবথেকে বেশি। সেই কারণে মালিক পক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জুটমিল বন্ধ করিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের চক্রান্ত আমরা ভেঙে দেব।" পাল্টা তৃণমূল বিধায়ক ও শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, "কাঁচা পাটের একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাটের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই কারণেই সমস্যা হচ্ছে। বিজেপির ২ জন সাংসদ কেন্দ্রের সঙ্গে যোগসাজসে ভোটের মুখে এসব করাচ্ছে।"