সংক্ষিপ্ত
- জেলাতেও মারণ চাইনিজ মাঞ্জায় বিপদ
- খড়্গপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত কিশোর
- গলায় জড়িয়ে যায় ঘুড়ি ওড়ানোর সুতো
- ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ
কলকাতায় মাঞ্জার সুতো গলায় জড়িয়ে বিপদে পড়েছেন বেশ কয়েকজন বাইক আরোহী। তবে এবার আর বাইকো আরোহী নন, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় গলায় মাঞ্জার সুতো জড়িয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। মঙ্গলবার সকালে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে খড়্গপুর বাস স্ট্যান্ডে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম সাদিক খান। চোদ্দ বছরের সাদিক খড়্গপুরেরই পাঁচবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে নিজের বোনকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল ওই কিশোর। লেই সময় খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ডে কয়েকটি ছেলে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। তাদের একটি ঘুড়ির সুতো হঠাৎ সাদিকের গলায় জড়িয়ে যায়। তার পরেই মাটিতে পড়ে যায় ওই কিশোর।
অভিযোগ, সাদিকের গলায় সুতো জড়ানো অবস্থাতেই ওই ছেলেগুলি তা ধরে টানতে থাকে। সাদিক তাতে বাধা দিলেও তারা শোনেনি। এর ফলে ধারালো চাইনিজ মাঞ্জা সুতোয় সাদিকের গলা কেটে রক্তপাত শুরু হয়।
স্থানীয়রাই সাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। চাইনিজ সুতোর জন্যেই এই ঘটনাটা ঘটেছে বলে সাদিকের পরিবারের অভিযোগ। এই ঘটনায় খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহত কিশোরের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অপ্রত্যাশিত এই দুর্ঘটনায় সাদিকের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক প্রতিবেশীরাও।
চাইনিজ মাঞ্জার ব্যবহার বন্ধ করতে কলকাতাতে বিশেষ নজরদারি চালাতে হয় পুলিশকে। জেলাগুলিতেও যে মানুষের প্রাণ কাড়তে পারে মারণ মাঞ্জা, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। ফলে কলকাতার মতো জেলাগুলিতেও চাইনিজ মাঞ্জার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পুলিশের নজরদারি প্রয়োজন।