সংক্ষিপ্ত

প্রবাসী শ্রমিকদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হোক 
পিএম কেয়ারস ফান্ড থেকে এই টাকা দেওয়া হোক
সোশ্য়াল মিডিয়ায় আবেদন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 
তীব্র সমালোচনা রাজ্য বিজেপির
 

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রীতিমত কেন্দ্রের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের অভিযোগ ছিল মাইগ্রেন্ট স্পেশাল ট্রেন ঢোকার ছাড়পত্র দিতে চাইছে বাংলার সরকার। আবার পরিযায়ী ট্রেন বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। এবার সেই প্রবাসী শ্রমিকদের সাহায্যের জন্যই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেন তিনি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন পিএম কেয়ারস ফান্ড থেকে প্রবাসী ও অংসগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সাহায্য হিসেবে দশ হাজার টাকা দেওয়া হোক। 

ভার্চুয়াল না সেন্ট্রাল হল, কোথায় কীভাবে হবে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন তানিয়েই জল্পনা ...

শেষ ১৬ দিনে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক, আনলক আরও বিপদ ডেকে আনবে কি ...

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা ছিল  করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারীর আকার নেওয়ায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ নিদারুণ সমস্যায় পড়েছে। কেন্দ্রের কাছে তাঁর আবেদন, অংসগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও প্রবাসী শ্রমিকদের এককালীন ১০,০০০ টাকা হস্তান্তর করা হোক। পিএম কেয়ারস ফান্ডের একটি অংশ এই খাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। 


দেশের করোনা সংক্রমণে প্রথম দিকে গত ২৭ মার্চ মরামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি হয়েছিল পিএম কেয়ারস ফান্ড। এই ট্রাস্টের মাথায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ট্রাস্ট থেকে ইতিমধ্যেই খরচ করা হয়েছে ৩১০০। ভেন্টিলেটর কেনার জন্য খরচ করা হয়েছে, ২০০০ কোটি টাকা। অবিভাসী শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা। আর করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজে সাহায্যের জন্য ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। 

তবে পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়ে রীতিমত সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগ এই ফান্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার লুকোচুরি খেলছে। ফান্ডের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও সে আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। 

যদিও রাজ্যের বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই রাজ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পাঠাতেই রীতিমত জোর করতে হয়েছিল। প্রথম দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাননি এই রাজ্যে আসুক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। তাঁর এই উদাসীনতা রীতিমত ক্ষুব্ধ প্রবাসী শ্রমিকরা। সেই শ্রমিকদের বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থার দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।