সংক্ষিপ্ত
- মুর্শিদাবাদে উদ্ধার বিষধর কালাচ
- গ্রামের রাস্তায় দেখে উদ্ধার করেন বাসিন্দারা
- তুলে দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে
কামড়ালে সহজে বোঝা যায় না। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যু অনিবার্য। এ হেন বিষধর কালাচ সাপ উদ্ধার হল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এলাকা থেকে। পরে সাপটিকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। কালাচ সাপকেই এ রাজ্যের সবথেকে বিষধর সাপ বলে দাবি করেছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।
এ দিন দুপুরে বেলডাঙ্গার মকরামপুর গ্রামে বিরল প্রজাতির এই সাপের দেখা মেলে। রাস্তার উপরেই সাপটিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সেটিকে না মেরে ধরার চেষ্টা করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এক যুবক সাপটিকে উদ্ধার করে একটি প্লাস্টিকের কৌটোয় রাখেন। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে গ্রামবাসীদের কয়েকজন বুঝতে পারেন যে কালাচ সাপই ধরা পড়েছে। এর পরেই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের খবর দেওয়া হয়।
ওয়াইল্ড লাইফ সেভিয়ার সোসাইটি নামে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কোনও জঙ্গলেই সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সংস্থার দুই সদস্য মাহিদ শেখ ও ইনজাম শেখ বলেন, 'এই সাপটি পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ। ইংরেজিতে একে কমন ক্রেট বলা হয়। এই সাপ কামড়ালে এক ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর মৃত্যু অনিবার্য। সাধারণত এই সাপের দাঁতগুলো খুবই সংকীর্ণ এবং তীক্ষ্ণ হয়। ফলে এই সাপের কামড়ের সেরকম চিহ্ন বোঝা যায় না। তবে এই সাপে কামড়ালে কিছুক্ষণের মধ্যে পেটে, বুকে যন্ত্রণা শুরু হয় এবং পরবর্তী সময় গলার মধ্যেও টান শুরু হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তক্ষরণ হয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটে। বর্তমানে এই সাপটি বিরল প্রজাতির সাপেদের মধ্যে একটি।'