সংক্ষিপ্ত

মহালয়ার সকালে বাংলার সর্বত্রই  তর্পণের ভীড়।  পিতৃপক্ষের অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয়েছে, আদি গঙ্গার সদাব্রত ঘাটে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার জন্য।  

 

মহালয়ার (Mahalaya)  সকালে বাংলার সর্বত্রই  তর্পণের (tarpan) ভীড়। বুধবার পিতৃপক্ষের অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয়েছে। এদিন তর্পণের জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের আদি গঙ্গায়। আদি (ganges) গঙ্গার সদাব্রত ঘাটে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার জন্য। প্রতি বছরই এখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন আসেন তর্পণ করতে, এবারও তার অন্যথা হয়নি।

 

পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ আত্রেয়ী নদীতে, কড়া নিরপত্তা বালুরঘাটে

আরও পড়ুন, বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘূর্ণাবর্ত, আজ মহালয়ায় উপকূলের জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস

  বুধবার ভোর থেকেই মহালয়ার পূর্ণ তিথিতে বালুরঘাট শহরের কল্যাণীঘাট বা সদরঘাটে শুরু হয়েছে তর্পণ। পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে বালুরঘাট আত্রেয়ী নদীতে নেমেছে সাধারণ মানুষ। এদিকে তর্পণকে ঘিরে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য আত্রেয়ী নদীতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্ধারের দলকে নামানো হয়েছে। এছাড়াও নামানো হয় স্পীড বোর্ড। এদিন সকাল থেকে আত্রেয়ী নদীর বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয় তর্পণ। প্রসঙ্গত, তর্পণ শব্দটি এসেছে ত্রুপ থেকে, এর মানে সন্তুষ্ট করা। ভগবান, ঋষি ও পূর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশ্যে জল নিবেদন করে তাঁদের সন্তুষ্ট করাকে তর্পণ বলা হয়। বংশের যে সকল‌ পিতৃপুরুষ পরলোক গমন করেছেন, তাঁদের প্রীতির উদ্দেশ্যে মন্ত্র উচ্চারণপূর্বক স-তিল জল (তিল মেশানো জল) দান করে সাধারণত পুত্রসন্তানেরা পিতৃতর্পণ করে থাকেন। অন্যান্য বারের মত এবারও বালুরঘাট আত্রেয়ী নদীতে তর্পণের ভিড় নজরে আসে। করোনা বিধি মেনেই তর্পণ করেন সাধারণ মানুষ। কার্যত এদিন থেকেই কার্যত ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে প্রাণের শারদোৎসবে।

 ভীড় বর্ধমানের দামোদর ও বাঁকা নদীর ঘাটেও

আরও পড়ুন, Durga Puja: সোনার মূর্তির বদলে কলা বউ, পুরুলিয়ার রাজবাড়িতে এবার ব্যতিক্রমী দুর্গাপুজো

অপরদিকে মহালয়ার পূণ্যলগ্নে পূণ্যার্থীদের ভীড় বর্ধমানের দামোদর ও বাঁকা নদীর ঘাটেও। শাস্ত্রীয় আচার ও যুগ যুগ ধরে চলে আসা প্রথা মেনে এদিন দামোদর ও বাঁকা নদীর তীরের ঘাটগুলিতে সমবেত হন পূণ্যকামী মানুষজন। এদিনটা পূর্বপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্য তর্পন করে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। যথাবিহিত আচার মেনে দামোদর নদে স্নান ও তর্পন হয়। একই বিধি পালন হয় বাঁকা নদের পাড়েও। গতবার কোভিড সংক্রমণের জেরে তর্পনে সমাগম কম ছিল। এবারে প্রকোপ এখন কম। তাই সমাগম ছিল ভালই। পুলিশ সহ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ছিল প্রশাসনের তরফে।  পাশাপাশি প্রত্যেক বারের মতো এবারেও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উদ্যোগে দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করতে আসা প্রত্যেকটি মানুষের জন্যই ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাট সহ রায়চক নদীর ঘাট প্রত্যেকটি জায়গাতেই তর্পণ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে  এবং  মিষ্টি মুখও করানো হয়েছে।

দেবীপক্ষের সূচনায় তর্পণে মাতলো সীমান্তের জেলা মুর্শিদাবাদ

মহালয়ার শুভক্ষণে উচ্ছাসে ভাসল মুর্শিদাবাদের উত্তর থেকে দক্ষিণও ।এই দিন বুধবার  জিয়াগঞ্জ সদরঘাট থেকে শুরু করে লালবাগ গঙ্গা ঘাট,বহরমপুর খাগড়া ঘাট,নিমতলা ঘাট সর্বত্রই হাজির ছিল তর্পণ কারীরা।লা বাড়ার সাথে সাথে  থেকে মহালয়ার পর থেকে পিতৃতর্পণের উদ্দেশ্যে পুন্যস্নানার্থীদের ভিড় কিছুটা বাড়তে থাকে। তবে আশ্বিন মাসে অমাবস্যা তিথি তেই তর্পণ অনুস্থিত হয়। তাই অমাবস্যা তিথি শুরু হওয়ার পর থেকেই একে একে তর্পণের জন্য মানুষদের ভিড় গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে দেখা যায়। পুরোহিতের মন্ত্রের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গলা ও কোমর জলে  দাঁড়িয়ে জোড়হাত করে পিতৃতর্পণ সম্পন্ন করতে অনেককেই দেখা যায়। মহালয়ার পুন্যতিথিতে তর্পণের পর থেকেই শুরু হল বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসবে দশভুজার বেদীতে বসার কাউন্টডাউন।

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

YouTube video player