সংক্ষিপ্ত

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এডিজি সিআইডি, এডিজি আইন শৃঙ্খলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

রবিবার ঠিক সন্ধের সময় রাজ্যের দুই প্রান্তেই খুন হন দুই কাউন্সিলর (Councilor)। একজন তৃণমূল (TMC Councilor), আরেক জন কংগ্রেস (Congress Councilor)। রাজ্যে এই দুই কাউন্সিলরের মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবারই রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে (Urgent Meeting) বসেন তিনি। কীভাবে একই দিনে রাজ্যের দুই প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে জানতে চান। সূত্রের খবর, মূলত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি (Law and order Situation) নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। এই বৈঠক শেষ হওয়ার পরই পানিহাটি (Panihati) পৌঁছায় সিআইডি-র (CID Team) একটি টিম। তবে, রাজ্যের তরফে এখনও এই খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। 

এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এডিজি সিআইডি, এডিজি আইন শৃঙ্খলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবারের দুটি খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

আরও পড়ুন- কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যার ঘটনায় আটক দাদা, আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি নেপাল মাহাতোর

উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধের দিকে রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ঝালদা (Jhalda municipality) বাগমুন্ডি রাস্তার ওপর গোকুল নগরের কাছে তিন বাইক আরোহী (Three bike riders) কংগ্রেস কাউন্সিলার (Congress Councilor) তপন কান্দুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তপন কান্দু। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

আরও পড়ুন- 'পুলিশ মন্ত্রী চুপ কেন', বিধানসভায় ওয়াক আউট বিজেপির, হত্যাকাণ্ডে পর্দাফাঁস করল কাউন্সিলরের মেয়ে

এদিকে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে গুলি করে হত্যা করা হয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। দোকান থেকে জিনিস কিনে ফেরার পথে রাস্তায় তাঁকে গুলি করা হয়। এক যুবক মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে হত্যা করে। এই দুই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। শাসক দলের দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। জানা গিয়েছে, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে দুই কাউন্সিলর খুন সংক্রান্ত ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন, 'এভাবে আমাদের মেরে শেষ করা যাবে না', কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ধিক্কার ফিরহাদের

অনুপম দত্ত খুনের ঘটনার তদন্তে পানিহাটি পৌঁছায় সিআইডি টিম। সোমবার সিআইডির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে দু'জনকে। তাঁদের খড়দহ থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বামীর মৃত্যুর তদন্তে স্থানীয় পুলিশের উপর ভরসা নেই বলে জানিয়েছেন অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সিআইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।