সংক্ষিপ্ত
ইতিমধ্যেই কোচবিহার থেকে সেখানে পাঠানো হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ময়নাগুড়িতে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন ২০ জন পুলিশের একটি দল।
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা রাজ্যে। বৃহস্পতিবার বিকালে ময়নাগুড়িতে (Maynaguri) লাইনচ্যূত হয়ে যায় ১৫৩৬৬ আপ পটনা-গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেস (1536৬ Up Patna-Guwahati Bikaner Express)। ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ১০জন। এখনও প্রচুর মানুষ ট্রেনের বগির তলায় চাপা পড়ে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ইঞ্জিনের পর থেকে মোট ১২ থেকে ১৩টি বগি বেলাইন হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলাতে (Jalpaiguri District) এই দুর্ঘটনা ঘটলেও সেক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পার্শ্ববর্তী কোচবিহার (Coochbehar) জেলা প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই কোচবিহার থেকে সেখানে পাঠানো হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ময়নাগুড়িতে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন ২০ জন পুলিশের একটি দল। কোচবিহার পুলিশের তরফে সেখানে চারটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও দড়ি, ড্রাগন লাইট ও উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য বাকি জিনিসও পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থানে। পাশাপাশি মেখলিগঞ্জের ওসিও সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। খাবারের ৫০০টি প্যাকেট ও জলের বোতল দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- কেন ঘটল ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নেপথ্যে কী রহস্য, কী বলছে রেল
এছাড়াও কোচবিহার থেকে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও ১২টি অ্যাম্বুলেন্স। তার মধ্যে রয়েছে একটি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুলেন্সও। কোচবিহারের সিএমওএইচের নেতৃত্বে ঘটনাস্থানে যাচ্ছে এই দলটি। পাশাপাশি ঘটনাস্থানে যাচ্ছেন সিএমওএইচ নিজেই।
আরও পড়ুন- নিহতদের ৫ লক্ষ, আহতদের জন্য ১ লক্ষের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলের
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকের মাঝেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কাছে এই দুর্ঘটনার (Rail Accident) খবর এসে পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে গোটা ঘটনার খবর (Mamata Banerjee inquired) নেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বিগ্ন মমতা জানতে চান উদ্ধারকার্যের বিষয়ে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেন মমতা। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের দ্রুত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, এই দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- 'নাশকতা হলেও হতে পারে', আশঙ্কা প্রকাশ রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
ডোমহনির কাছে উল্টে যাওয়ার ফলে বিকানের এক্সপ্রেসের প্রতিটি বগিই কার্যত দুমড়ে মুচরে মাঠের পাশে পড়ে রয়েছে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন ট্রেনের গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছিল বলে জানা গিয়েছে।