সংক্ষিপ্ত
বহরমপুর শহরেই ১২টি কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। সেই মতো এদিন ওই এলাকাগুলি জেলা প্রশাসনের তরফে পরিদর্শন করেন প্রশাসনের ৩ সদস্যের উচ্চ আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত একটি দল।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের (Corona Third Wave) আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা সহ সদর শহর বহরমপুর জুড়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আর সেই সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে অনেকেই ভাবছেন জেলায় আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তার জেরেই এবার যৌথভাবে বড় সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) ও জেলা প্রশাসন। জেলার ৩৫টি এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন (Containment Zone) করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধেয় শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তার মধ্যে বহরমপুর শহরেই ১২টি কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। সেই মতো এদিন ওই এলাকাগুলি জেলা প্রশাসনের তরফে পরিদর্শন করেন প্রশাসনের ৩ সদস্যের উচ্চ আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত একটি দল। জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন। তার মধ্যে ৬ জন বহরমপুরের করোনা হাসপাতালে (Corona Hospital) ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন- শয়ে শয়ে লোকের জমায়েতে মুখে মাস্ক নেই কারোর, রমরমিয়ে চলছে হাট
আরও পড়ুন- পুলিশের বৈঠকে অতিথি আসনে তৃণমূল নেতা, ক্ষোভে অনুষ্ঠান ছাড়েন বিজেপি নেতা
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সিরাজ দানেশ্বর বলেন, "মাস্ক পরার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। নিজেদের স্বার্থেই এটা পরা উচিত। এখন আমরা লাগাতার প্রচার চালিয়ে সচেতন করছি। কাজ না হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে। দু-তিনদিনের মধ্যেই আমরা অভিযানে নামব।"
আরও পড়ুন- কালীপুজোতে পোড়ানো যাবে না কোনও বাজি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও জেলায় স্বাস্থ্যবিধি উধাও হয়ে গিয়েছে। মাস্ক ছাড়াই অধিকাংশ বাসিন্দা পথে বের হচ্ছেন। বেলা বাড়লেই বিভিন্ন পাড়ার মোড়ে ভিড় উপচে পড়ছে। কন্টেনমেন জোনেও অনেকে নিয়ম মানছেন না বলে অভিযোগ। আগামী দিনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়।
তবে শুধু মুর্শিদাবাদেই নয় একই অবস্থা বর্ধমানেও। সরকারি নিষেধাজ্ঞার (Govt Rules) তোয়াক্কাই করে না কেউ সেখানে। পুলিশ প্রশাসনের লাগাতার প্রচার ও মাইকিং ব্যর্থ। আর সেই কারণে রাস্তায় ধরে ধরে মাস্ক (Mask) বিলি করা হচ্ছে। কারণ বেহায়া এক শ্রেণির নাগরিক। তারা যেন পণ করেছেন মাস্ক ব্যবহার করবেন না। প্রতি শুক্রবার (Friday) বর্ধমানের (Burdwan) বীরহাটায় তাঁত হাট বসে। মূলত তাঁতের শাড়ি বিকিকিনি হয়। সেখানে হাজার হাজার ক্রেতা। কিন্তু অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। ক্রেতা কি বিক্রেতা সবার এক কথা। মাস্ক পরতে ভুলে গিয়েছি। কাল থেকে পরবেন বলে জানিয়েছেন সবাই। সচেতন নাগরিকরা বলছেন পুলিশের লাঠি ছাড়া এদের শিক্ষা দেওয়া যাবে না। মার খেলে তবে যদি কিছু মাথায় ঢোকে। অথচ শুক্রবার সকলেই বর্ধমান শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলাল এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও লাগাম টানা যাচ্ছে না মাস্ক না পরার ক্ষেত্রে।