সংক্ষিপ্ত
সরকারি বৈঠকের অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূল নেতাকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পাশাপাশি পুলিশের তরফে সেই তৃণমূল নেতার নাম ও দলীয় পদ মাইকে ঘোষণা করা হয়। সরকারি বৈঠকে কেন শুধুমাত্র শাসকদলের নেতাকে আসনে বসানো হল?
কালীপুজো (Kali Puja) নিয়ে পুলিশের ডাকা বৈঠকে (Police Meeting) অতিথি আসনে বসানো হয়েছিল তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader)। আর তা নিয়ে বালুরঘাটে (Balurghat) শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছে জেলার বিরোধীরা। আসন্ন কালীপুজো উপলক্ষ্যে শুক্রবার পুলিশের (Police) তরফে থানার অন্তর্গত বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বালুছায়া অনুষ্ঠান ভবনে বিশেষ বৈঠক করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। আর এই বৈঠককে ঘিরেই তৈরি হয়েছে বির্তক।
সরকারি বৈঠকের অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূল নেতাকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পাশাপাশি পুলিশের তরফে সেই তৃণমূল নেতার নাম ও দলীয় পদ মাইকে ঘোষণা করা হয়। সরকারি বৈঠকে কেন শুধুমাত্র শাসকদলের নেতাকে আসনে বসানো হল? অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কেন আসনে বসার জন্য ডাকা হল না? এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র নানান বির্তক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে এনিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে বিজেপি। শুধুমাত্র বিজেপি (BJP) নয় এই ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা করেছে আরএসপিও।
আরও পড়ুন- গোয়ায় ৩টি মন্দির দর্শন মমতার, দেন পুজোও
আরও পড়ুন- ৬ মাস পর মিলল অনুমতি, অবশেষে রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন
প্রসঙ্গত, আজ দুপুরে আসন্ন কালীপুজো নিয়েই বালুরঘাট থানার অন্তর্গত পুজো উদ্যোক্তা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। যেখানে হাজির ছিলেন বালুরঘাট থানার আইসি অসীম গোপ, ট্র্যাফিক ওসি বাবুল হোসেন, বালুরঘাট টাউন তৃণমূল সভাপতি বিমান দাস সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। এদিনের বৈঠক মঞ্চে তৃণমূল বালুরঘাট টাউন সভাপতি বিমান দাসকে বসানো নিয়েই তৈরি হয়েছে বির্তক। এমন ঘটনা এর আগে ঘটেনি বলে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। যেখানে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা রয়েছে সেখানে শুধুমাত্র কোনও একটি বিশেষ দলের প্রতিনিধিকে আসনে বসানো মানে অন্যদের অপমান করা। এই অভিযোগ করেছেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার। আর বিষয়টি দেখার পরই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন- কালীপুজোতে পোড়ানো যাবে না কোনও বাজি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
অন্যদিকে আরএসপির রাজ্য সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, "পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। এটা আজকের ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হল। এমন ঘটনা অতীতে ঘটেনি। আজ এমন ঘটনার সাক্ষী হলেন বালুরঘাটবাসী।" যদিও বিষয়টি ঠিক জানা নেই বলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তারপরই জানাতে পারবেন। এদিকে তিনি এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন কোথায় কি ঘটনা ঘটল সেদিকে নজর না দিয়ে আসন্ন কালীপুজোয় যাতে সকলেই কোভিডবিধি মেনে পুজো করেন তার জন্য বারবার আবেদন করেন। অবশ্য এবিষয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা পুলিশ প্রশাসন।