সংক্ষিপ্ত
গ্রামবাসীরা আটক করল জাল সিমেন্ট বোঝাই গাড়ি। পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। জাল সিমেন্ট বোঝাই লরি হাতেনাতে ধরল গ্রামবাসীরা।
প্রশাসনের (Administration) নাকের ডগায় বাংলা-বিহার (Bengal-Bihar) জুড়ে জাল সিমেন্টের কারবার (Counterfeit cement business) ছড়াচ্ছে। এই অভিযোগে গ্রামবাসীরা (Locals) আটক করল জাল সিমেন্ট বোঝাই গাড়ি (Cement Loaded Lorry)। পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। জাল সিমেন্ট বোঝাই লরি হাতেনাতে ধরল গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ স্থানীয়দের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী গ্রাম কুমেদপুর এলাকায়। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। এর আগে জাল হলুদের কারবার ছড়িয়ে গিয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাজুড়ে। সেবার সংবাদমাধ্যমের খবরের জেরে তৎপর হয় প্রশাসন।
প্রশাসনের তৎপরতায় ভেজাল হলুদের কারবার বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবারে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে জাল সিমেন্টের কারবার। এলাকাবাসীর অভিযোগ অন্য জায়গা থেকে এই সিমেন্ট নিয়ে এসে হরিশ্চন্দ্রপুর সহ বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল গুলিতে জালসিমেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গরিব মানুষদের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে খবর কুমেদপুর প্রবেশ মুখে তালগ্রাম হাট এলাকায় একটি সিমেন্ট বোঝাই গাড়িকে আটকায় এলাকাবাসী। গাড়ির চালককেও আটকে রাখে। তাদের অভিযোগ মালদা জেলার নারায়নপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে নামি কোম্পানির সিমেন্টের ব্যাগ জাল সিমেন্ট বোঝাই করে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার কুমেদপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই এলাকাসহ বিহার সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে এই জাল সিমেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এর পিছনে কাজ করছে বড় চক্র। ব্যাগে যা থাকছে তা নাকি সিমেন্ট নয়। সিমেন্টের মতো দেখতে এক ধরনের মাটি।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ এলাকার এনামুল নামে এক ব্যক্তি এই ব্যবসা চালাচ্ছে। তাছাড়া বাসিন্দারা আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন তিমিরপুরা এলাকার এক স্বামী স্ত্রী সেতাবুর রহমান ও তাহমিনা খাতুন এলাকার গরিব মানুষদের ৩০,০০০ টাকার বিনিময় ঘর করে দেওয়ার নাম করে এই জাল সিমেন্ট ব্যবহার করছে সেই ঘর নির্মাণ করার জন্য।
এর জন্য তারা সৌদি আরব থেকে টাকা নিয়ে আসছেন বলে স্থানীয়দের দাবি। এর ফলে এলাকার গরিব মানুষরা সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। আর সমস্ত তাই ঘটছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। কিন্তু তবুও প্রশাসন কোনো আজও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এজন্যই তারা আজ জাল সিমেন্ট বোঝাই গাড়িটি আটক করেছেন।
"
যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত এনামুল হক ও ওই দুই স্বামী স্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় ছুটে আসেন কুমেদপুর আউটপোস্টের পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে তারা ওই গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান আমরা ট্রাকটিকে আটক করেছি। সিমেন্ট জাল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।