সংক্ষিপ্ত
কোভিড-১৯ নিয়ে বিজ্ঞপ্ত নবান্নের। উঠে যাচ্ছে কোভিড১৯ বিধিনিষেধ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই উঠে যাচ্ছে নাইট কার্ফু।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। কোভিড ১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে আগে যেসব বিধিনিষেধগুলি জারি করা হয়েছিল সেগুলি তুলে নেওয়ার কথা জানাল রাজ্যসরকার।বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্ত জারি করে মুখ্যসচিব এই কথা জানিয়েছেন। প্রায় দুবছর পর রাজ্য থেকে উঠে যাচ্ছে কোভিড বিধি। তবে পাবলিক প্লেসে সতর্ক থাকা ও পরিচ্ছন্ন বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যসরকার। পাশাপাশি নবান্ন নতুন নির্দেশিকা জারি করে বলেছেন বৃহস্পতিবার থেকে আর নাইট কার্ফু থাকছে না। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে জারি হয় একটি নতুন নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকাতে কোভিড বিধি নিষেধ শিথিল করার কথাই বলেছে নবান্ন। নির্দেশিকাতে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতিকে পর্যালোচনা করে বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকার কোভিড পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রিত করে এসেছে। রাজ্যে এখনও আপদকালীন ব্যবস্থা আইন ২০০৫ ও পশ্চিমবঙ্গ মহামারী আইন, কোভিড-১৯ বিধি নিষেধ ২০২০ ৩১শে মার্চ এখনও চালু রয়েছে। তবে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোভিড আক্রান্তের হার অত্যান্ত কম। সার্বিক কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সেইজন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের আপদকালীন ব্যবস্থাপক কর্তৃপক্ষের অধীনে কর্মরত কার্যনির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় সরকারের উপদেশ মেনে নিয়ে আপদকালীন ব্যবস্থা আইন ২০০৫ ও পশ্চিমবঙ্গ মহামারী আইন, কোভিড-১৯ বিধি নিষেধ ২০২০ রাজ্য থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যদি পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে রাজ্যে তা ফের লাগু হতে পারে বলেই নবান্ন থেকে জানান হয়েছে। যদিও কোভিড বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হলেও স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধির প্রশ্নে সর্ব সময় মাস্কের ব্যবহার, হাত ধোওয়া ও লোক স্থান স্যানিটাইজেশন করার প্রক্রিয়া বহাল থাকবে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস, অন্যান্য সমস্ত সংস্থার ক্ষেত্রে সমস্ত কোভিড নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিবদ্ধ নিয়ম পালন করতে বাধ্য থাকবেন। অফিস সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত স্টানিটাইজেশনের ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। কোভিড স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্বন্ধিত এই নির্দেশ সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা তার জন্য সমস্ত জেলা শাসক, পুলিশ কমিশনারেট ও স্থানীয় প্রশাসন করা নজর রেখে চলবে বলেই নবান্নের নির্দেশিকাতে স্পষ্ট জানান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রায় একই ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে বলেছেন, বর্তমানে রাজ্যে আক্রান্তের দৈনিক একশোতে নেমে এসেছে। ইতিবাচকতার হার ৪ শতাংশ। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড টাস্কফোর্সের সঙ্গে পরামর্শ করেই রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা নিচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন সেই কারণে মহারাষ্ট্র থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের বিধানগুলি প্রত্যাহার করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।