সংক্ষিপ্ত
কল্যাণ-অপরূপা তরজায় বিজেপির কোন লাভ লোকসান নেই। এদিন চন্দননগরে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে এসে এই কথাই জানালেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
করোনা আবহে বকেয়া পুরভোট নিয়ে অভিষেকের মন্তব্য থেকেই শুরু হয় মূল বিতর্ক পর্ব। শুরুতে বিরোধীদের তরফে ভোট পিছনোর দাবি উঠলেও এই নিয়ে টালবাহানা চলছিলই। এমতাবস্থায় সম্প্রতি নিজের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ জানাতে গিয়ে করোনা আবহে দু’মাস সমস্ত রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখার পক্ষে সওয়াল করেন সর্বভারতীয় তৃণমূল-কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Bandopadhyay, General Secretary of the All India Trinamool Congress)। তারপর থেকেই তাঁর মন্তব্যের সমর্থনে আড়াআড়ি বিভাজন দেখা যায় দলের অভ্যন্তরেই। এদিকে এই ইস্যু প্রকাশ্যেই অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Kalyan Bandyopadhyay, MP from Srirampur)। অন্যদিকে অভিষেকের পক্ষ নিয়ে কল্যাণকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে (Arambagh MP Aparupa Poddar)। এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুলতে দেখা গেল বিজেপিকে।
কল্যাণ-অপরূপা তরজায় বিজেপির কোন লাভ লোকসান নেই। এদিন চন্দননগরে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে এসে এই কথাই জানালেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP's all-India co-president Dilip Ghosh)। এদিন সকাল থেকেই চন্দননগরে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার সারেন তিনি। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সোমা রায়ের বাড়িতে গিয়ে গাছ থেকে পেয়ারাও পারতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি পুরভোট নিয়ে এতদিন ধরে চলা দোলাচল নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, “কেন নির্বাচন কমিশনকে টিএমসি বা সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রাখতে হবে? নির্বাচন কমিশনকে নিজেই কড়া ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা যে মেরুদন্ডী প্রাণী যে সে কথা বুঝিয়ে দিতে হবে।” অন্যদিকে ভোট পেছানোর ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন মানুষ কি চাইছে সেটাই শেষ কথা। মানুষের চাপেই ভোট পিছচ্ছে। সাম্প্রতিক অভিষেকের মন্তব্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দিলীপ জানান, “ওদের ভেতরে কলহ থাকে কিন্তু এখন একটু বেড়ে গেছে। যে ধরণের লোক নিয়ে পার্টি চলছে এর বেশি কিছু আশা করা যায়না। এটাই প্রকৃত পক্ষে টিএমসির কালচার।”
আরও পড়ুন-তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলে কীভাবে নতুন রূপে সেজে উঠবে চন্দননগর, নয়া রূপরেখা বিধায়ক ইন্দ্রনীলের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট পিছানো নিয়ে অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ নিয়ে কয়েকদিন আগেই তোপ দেগে কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, “এই পদে থেকে কারও কোনও ব্যক্তিগত মত থাকতে পারে না। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটি সর্বক্ষণের। বিভিন্ন বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত রয়েছে। কিন্তু দলের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি তা বলতে পারি না।” এদিকে তার এই মন্তব্যের পরই আসরে নামতে দেখা যায় অপরূপাকে। তাঁর সাফ দাবি কল্যাণ আসলে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’-এর মতো আচরণ করেছেন।এমনকী এরপরই দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগও দাবি করেন আরামবাগের সাংসদ।