সংক্ষিপ্ত
- প্রয়াত বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য
- দলের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক ছিলেন তিনি
- ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন মৃগাঙ্ক
- এনআরএস হাসাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি
মাস দুয়েক ধরে অসুস্থ ছিলেন, ভুগছিলেন ফুসফুসের ক্যান্সারে। ররিবার রাতে কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে প্রয়াত হলেন সিপিএম-এর মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী, তিন মেয়ে ও জামাইকে।
২০০৯ সালে লোকসভা ভোটের মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর কেন্দ্রে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটে অবশ্য হেরে যান সিপিএম নেতা মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন টানা ২২ বছর। ২০১০ সালে দলের নির্দেশেই পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন মৃগাঙ্ক। ১৯৬৮ সালে সিপিএমে সদস্য হন অবসরপ্রাপ্ত এই স্কুল শিক্ষক। কখনও দলের কৃষকসভা, তো কখনও আবার শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। সিটু-এর রাজ্য কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন তিনি। টানা আট বছর ধরে কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদের সিপিএম-এর জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে পদক্ষেপ, বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি কলকাতা হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে আচমকাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে তাঁর। শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে, দলের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হন মৃগাঙ্ক। তাঁর বদলে এখন মুর্শিদাবাদে অস্থায়ীভাবে সিপিএম-এর জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের প্রবীণ নেতা নৃপেন চৌধুরী। কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মৃগাঙ্গ ভট্টাচার্য। রবিবার রাতে সেখানেই মারা যান তিনি।