সংক্ষিপ্ত

 

  • নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করা বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি
  • সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে
  • জানানো হয়েছে , এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৯ জানুয়ারি 
  • মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্য সরকার এনিয়ে বক্তব্য জানাতে পারে
     

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে দেওয়া বিজ্ঞাপন ফলাও করে প্রচার করে বেশ চাপে পড়ল এবার রাজ্য সরকার। সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে আপাতত ওই সংক্রান্ত সমস্ত বিজ্ঞাপন প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৯ জানুয়ারি। তবে সরকার ওই বিজ্ঞাপন দিতে পারে কিনা তা নিয়ে আইনি দিক খোলা রয়েছে শুনানির জন্য। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্য সরকার এনিয়ে বক্তব্য জানাতে পারে। 

আরও পড়ুন, চিড়িয়াখানায় আরও এক হিংস্র প্রাণী, বড়দিনের আগেই তিনটি নতুন আকর্ষণ


কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনার পর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রবল বিরোধিতা শুরু করেন। রাজ্যে এই আইন বলবৎ করা হবে না বলে সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞাপন দিয়ে স্পষ্ট করে দেন। কিন্তু এই আইন আসার পরই, রাজ্যে বিক্ষোভকারীরা নানা জায়গায় গোলমাল করে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়। এদিন প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে অন্যতম মামলাকারীর আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য প্রমান স্বরূপ রাজ্য পুলিশের ফেসবুক পেজ দেখান। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ওই আইনের বিরোধিতা করে বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাচ্ছেন। 

 

আরও পড়ুন, নারী সুরক্ষায় নতুন পদক্ষেপ, ৪০ টি স্কুটি ও গাড়ি নিয়ে কলকাতার পথে নামছে উইনার্স

এরপর রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল(এজি) কিশোর দত্ত বলেন যে, 'সারা রাজ্যে এনিয়ে গোলমাল নেই৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সারা রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা এখন স্বাভাবিক রয়েছে। যে যে জায়গায় পরিষেবা বন্ধ ছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।' আর বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে এজি'র যুক্তি, সরকার এরকম বিজ্ঞাপন দিতেই পারে। কিন্তু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সরকারকে নির্দেশ দেয়, আপাতত ওই বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে। এছাড়া রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের তান্ডবের জেরে রেলের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং রেল কি কি ব্যবস্থা নিয়েছিল তা নিয়ে রেলকেও বিশদে রিপোর্ট দিতে হবে।