সংক্ষিপ্ত
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ঘূর্ণিঝড়ের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়বে সুন্দরবন এলাকায়। এছাড়াও কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলাতেও সিতরাং-এর প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় প্রবেশ করবে বলেই জানা যাচ্ছে।
বর্ষা বিদায়ের মুখেই অশনি সংকেত, ধেয়ে আসছে 'সিতরাং'। ‘ফণি’, ‘আমপান’, ‘ইয়াস'-এর স্মৃতিই কি ফিরিয়ে আনতে চলেছে 'সিতরাং'? ফের একবার প্রকৃতির ধ্বংসলীলা দেখবে বাংলা? এই আশঙ্কাতেই কড়া তৎপরতা প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। প্রস্তুতি চলছে আলাদা কন্ট্রোল রুমেও। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জোড়কদমে চলছে তোড়জোড়। নবান্নে চলল পরপর বৈঠক। ইতিমধ্যেই ছুটি বাতিল হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ঘূর্ণিঝড়ের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়বে সুন্দরবন এলাকায়। এছাড়াও কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলাতেও সিতরাং-এর প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় প্রবেশ করবে বলেই জানা যাচ্ছে। ২৪ ও ২৫ তারিখের মধ্যেই বঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা। আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপরূপে আন্দামান সাগরের উপরেই অবস্থান করে। এরপর উত্তরদিকে এগিয়ে ২৪ তারিক নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আলিপুর সূত্রে জানা যাচ্ছে এই ঝড়ের প্রভাবে উপকূলের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে আগামী ২৪ তারিখ ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। ২৪ তারিখ কলকাতায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২৫ তারিখ আরও বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। কলকাতা ও সংলগ্ন হাওড়া, হুগলি জেলাগুলিকে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
এই ঝড়ের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে 'সিতরাং' বা 'সি-তরাং'। নামটি তাইল্যান্ডের দেওয়া। তাইল্যান্ডের উচ্চারণ অনুযায়ী এই ঝড়ের নাম 'সি-তরাং'। 'সিতরাং' বা 'সি-তরাং' তাইল্যান্ডের একটি পদবি। ভিয়েতনামী ভাষায় এর অর্থ পাতা। এই মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে এখনই এই ঝড়ের কোনো পোশাকি নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। কারণ নিয়ম অনুযায়ী সাগরে কোনও ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরই তার নাম ঘোষণা করা হয়। আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকলেও তা এখনও ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়নি।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে সুপার সাইক্লোন 'সিতরাং'-এর আছড়ে পড়ার খবরে তোলপার বিভিন্ন মহল। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সুপার সাইক্লোনের বিষয় প্রকাশ্য আসার পর থেকেই তুঙ্গে জল্পনা। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তাফা কামাল পলাশ কিছুদিন আগে জানিয়েছেন, ১৭ অক্টোবরের মধ্যেই তৈরি হবে নিম্নচাপ। যা ২৫ অক্টোবর নাগাদ সুপার সাইক্লোন রূপে আছড়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন -
'জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া জরুরি', দশেরায় বললেন RSS প্রধান
সূর্যের দক্ষিণ গোলার্ধে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, বিপন্ন হতে পারে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা