সংক্ষিপ্ত

ঘূর্ণিঝড় সিতরাং নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, বিদ্যুৎ দপ্তর সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।

সুপার সাইক্লোন 'সিতরাং'-এর আছড়ে পড়ার খবরে তোলপাড় বিভিন্ন মহল। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সুপার সাইক্লোনের বিষয় প্রকাশ্য আসার পর থেকেই তুঙ্গে জল্পনা। জানা গিয়েছে ১৭ অক্টোবরের মধ্যেই তৈরি হবে নিম্নচাপ। যা ২৫ অক্টোবর নাগাদ সুপার সাইক্লোন রূপে আছড়ে পড়তে পারে। 

সুপার সাইক্লোন সিতরাং নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, বিদ্যুৎ দপ্তর সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিদ্যুৎ দপ্তরের সমস্ত কর্মীদের সাথে নিয়ে বৈঠক করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী। এই দুর্যোগের মোকাবিলা করতে সেই বৈঠক হয় বিধান নগরের বিদ্যুৎভবনে। বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার পর বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান বিদ্যুৎ দপ্তর সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। 

মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আরও বলেন সমস্ত কাস্টমার কেয়ার এবং সমস্ত সাবস্টেশন সারাদিন রাত কাজ করবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৬৯ হাজার আধিকারিক ও কর্মী বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবে। সমস্ত কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দুর্গাপুজো সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা করার জন্য কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী জানান গত বছরের থেকে এবার পুজোয় বিদ্যুতের কানেকশন অনেকটাই বেড়েছে। এছাড়াও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ নেওয়ার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী। যারা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত যারা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ নিয়েছেন যারা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। এছাড়াও  'সিতরাং' -এর ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরের কথাও বলা হয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিবের নির্দেশে একটা বৈঠক হয়। বৈঠকের পর কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত পাম্পিং স্টেশন খুলে রাখতে হবে। বিশেষ করে যেখানে জল জমা হয়, সেখানে পাম্প চালিয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন যেসব পাম্পিং স্টেশন বন্ধ সেটা চালিয়ে দেখে নেওয়া হবে। সমস্ত বিপজ্জনক বিল্ডিং থেকে আবাসিকদের সরিয়ে কোনও স্থানীয় কমিউনিটি হলে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হয়েছে যে সিএসইসিকে জানিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিপজ্জনক বাড়ির কাছে মাইকিং করে ফাঁকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

কালী পুজো মন্ডপে কাছে পাম্প রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন আমহার্স্ট স্ট্রিটে জল জমে। সেখানে নজর রাখা হবে। দুই ২৪ পরগনায় বেশি প্রভাব পড়তে পারে। কলকাতায় বড হোর্ডিং খুলে রাখতে বলা হয়েছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার ছুটি বাতিল করা যেতে পারে। শনিবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি বোঝা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন -

'জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া জরুরি', দশেরায় বললেন RSS প্রধান

সূর্যের দক্ষিণ গোলার্ধে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, বিপন্ন হতে পারে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা