সংক্ষিপ্ত

  • কাটমানি কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা দিলীপ ঘোষের
  • দায় এড়াতে পারেন না মমতা, দাবি দিলীপের
  • সোমবার বিজেপি-র এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান
  • পুলিশের গুলি চালানোর প্রতিবাদে অভিযানে বিজেপি
     

কাটমানি বিতর্কে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, দলের নেতারা কাটমানি নিচ্ছেন তা বুঝতে কেন আট বছর লাগল মুখ্যমন্ত্রীর। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন. 'উনি এত দক্ষ প্রশাসক, তার পরেও কেন কাটমানির বিষয়টি বুঝতে আট বছর সময় লাগল। ওনার অনুপ্রেরণাতেই রাজ্যে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট সবকিছু হয়। তাই কালীঘাটেও বিক্ষোভ হওয়া উচিত।'

মুখ্যমন্ত্রী দলীয় নেতাদের জনগণের থেকে নেওয়া টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কাটমানি ফেরত চেয়ে তৃণমূল নেতাদের ঘেরাও করছেন সাধারণ মানুষ। দিলীপবাবুর অভিযোগ, দায় এড়িয়ে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন মখ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন- কুড়ি দিনে ফেরাতে হবে ৪৫ লক্ষ, কাটমানি নিয়ে মহা ফাঁপড়ে তৃণমূল নেতা

এর পাশাপাশি পুলিশের গুলি চালনা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। দিলীপবাবুর অভিযোগ, পুলিশকে সামলাতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগ তুলে এবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামছে বিজেপি। সোমবার সব জেলাতেই বিজেপি সমর্থকরা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করবেন বলে এ দিন জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

ভাটপাড়ায় পুলিশের গুলিতে দু' জনের মৃত্যুর পরে শনিবার বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে পুলিশের গুলিতে তিন জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ। এদের মধ্যে  অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রও রয়েছে। তার অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর। 

রবিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পশ্চিম বাংলা জুড়ে বাঁধন ছাড়া রাজনৈতিক হিংসা, খুন চলছে। তার প্রতিবাদে সোমবার সমস্ত এসপি অফিসে বেলা বারোটার সময় আমরা ধরনা দেব। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই অনেত ভাটপাড়া তৈরি হয়ে যাচ্ছে। সরকারের মতোই পুলিশের ব্যবহারও ক্রুঢ় হয়ে যাচ্ছে। কথা কথায় পুলিশ গুলি চালাচ্ছে। এর পর রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই।'

বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, পুলিশের এই আচরণে সরকারের উপর থেকে মানুষের আস্থা আরও হারিয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপরেও মানুষের বিশ্বাস নেই বলে দাবি করেন তিনি।
দিলীপবাবু বলেন, 'যার প্রশাসন সামলানোর ক্ষমতা নেই, তিনি পুলিশ, দল কাউকেই সামলাতে পারছেন না। প্রশাসন, সরকারের উপরে মানুষের ক্ষোভ, বিক্ষোভ ঠিকরে বেরোচ্ছে। আর সেই রাগ সামলাতে পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।'