সংক্ষিপ্ত

  • মদ্যপ অবস্থায় ট্রেন চালাচ্ছিলেন চালক
  • ট্রেন ছুটছিল অত্যন্ত দ্রুতগতিতে
  • গার্ডের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন যাত্রীরা
  • উত্তেজনা ছড়াল নদীয়ার ফুলিয়া স্টেশনে

মদ্য়প অবস্থায় ট্রেনে ওঠে পড়েছিলেন চালক। ট্রেন চলছিল অত্য়ন্ত দ্রুতগতিতে। গার্ডের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদহ-শান্তিপুর লোকাল।  নদিয়ার ফুলিয়া স্টেশনে ট্রেনের চালক ও গার্ডকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন আতঙ্কিত যাত্রীরা। প্রশ্নের মুখে ট্রেনের নিরাপত্তা।

বুধবার রাতের ঘটনা।  নির্দিষ্ট সময়েই শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ছেড়েছিল শান্তিপুরগামী লোকাল ট্রেন। কাজের দিনে ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়ও ছিল যথেষ্টই। তাঁদের দাবি, রানাঘাট স্টেশন ছাড়ার পরেই আচমকাই ট্রেনের গতি বেড়ে যায়। এমনকী, স্টপেজ থাকা সত্ত্বেও ফুলিয়া স্টেশনে ট্রেন থামাননি চালক। সন্দেহ হয় শান্তিপুরগামী লোকালে কর্তব্যরত গার্ডের। তিনিই ট্রেনটিকে পরের স্টেশনে দাঁড় করান জানা গিয়েছে।  শেষপর্যন্ত শান্তিপুর স্টেশন থেকে একটি ট্রেন পাঠিয়ে যাত্রীদের ফুলিয়া স্টেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা, মেদিনীপুরে দুটি লরির সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু

কিন্তু ফুলিয়া স্টেশনে কেন দাঁড়াল না শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুরগামী লোকাল ট্রেন? যাত্রীদের অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ট্রেন চালাচ্ছিলেন চালক! সেক্ষেত্রে ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে কয়েকশো মানুষের প্রাণসংশয় হত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদে ফুলিয়া স্টেশনে ট্রেনে চালক ও গার্ডকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। রেলের তরফে অবশ্য চালকের মদ্য়প অবস্থা ট্রেন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক  নিখিল চক্রবর্তীর দাবি, চালক ও গার্ডের শারীরিক পরীক্ষায় মদ্যপানের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাহলে কী করে এমন ঘটনা ঘটল? তদন্তে নেমেছে রেল।