সংক্ষিপ্ত
আলোর উৎসবে কোনওভাবেই যাতে পরিবেশের ক্ষতি না হয় তার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল শীর্ষ আদালত। তৎপর পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও। শুধু দীপাবলি নয় ছটপুজো, বড়দিন এমনকী নিউ ইয়ার্সেও রাজ্যে নিয়ম মেনেই পোড়াতে হবে আতশবাজি।
দীপাবলিতে যথেচ্ছভাবে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পোড়ানো যাবে বিশেষ কিছু পরিবেশ বান্ধব বাজিই। এমনকি বেঁধে দেওয়া হল বাজি পোড়ানোর সময়সীমাও। বায়ুদূষণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। আলোর উৎসবে কোনওভাবেই যাতে পরিবেশের ক্ষতি না হয় তার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল শীর্ষ আদালত। তৎপর পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও। শুধু দীপাবলি নয় ছটপুজো, বড়দিন এমনকী নিউ ইয়ার্সেও রাজ্যে নিয়ম মেনেই পোড়াতে হবে আতশবাজি।
দীপাবলির আগেই শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে উৎসবের দিন বাজি পোড়ানো সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী দীপাবলিতে রাত আটটা ১০টা পর্যন্তই পোড়ানো যাবে আতশবাজি। শুধু তাই নয় কেবলমাত্র কিউআর কোড যুক্ত আতসবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
শুধু দীপাবলি নয়, আসন্ন ছট পুজো থেকে বড়দিন সমস্ত উৎসবেই মানতে হবে এই নির্দেশিকা। উৎসবের মরশুমে যাতে কোনওভাবেই দূষণ না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতেই এই বছর কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
ছট পুজোর দিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে আতশবাজি। তবে সেই বাজি অবশ্যই পরিবেশ বান্ধব হতে হবে। আসন্ন ২৫ ডিসেম্বর ও নিউ ইয়ারে রাত ১১টা৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই নির্দেশ না মানা হলে তা আইনত অপরাধ হিসেবেই দেখা হবে এবং তা ফৌজদারি অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য, শব্দ বাজির ক্ষেত্রে বহু আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর থেকে সবরকম বাজির উপরই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে প্রশাসন। প্রসঙ্গত ২০২১ সালে দীপাবলির মুখে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যে সব রকমের বাজির বিক্রি ও বাজির ব্যবহারকে নিষিদ্ধ করা হয়। উৎসবের মরশুমে এই নির্দেশিকার জেরে মাথায় হাত পড়ে যায় বাজি ব্যবসায়ীদের। দীপাবলি কালীপুজোতেই বাজির সর্বোচ্চ বিক্রি। এই বাজি বিক্রি করেই সংসার চলে বহু বাজি ব্যবসায়ীদের। এবার আদালতের এই নির্দেশে রুজি-রুটিতে টান পড়ে একটা বড় অংশের মানুষের। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামলায় ছাড়পত্র পায় কেবলমাত্র পরিবেশ বন্ধব বাজি বা সবুজ বাজি। পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। এবছরও সেই নিয়মের নড়চর হয়েনি বরং থাকল কিছু উপড়ি সংযোজনও। ইতিমধ্যেই সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার চালানো হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। কড়া নজরদারিও চালানো হচ্ছে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন-
পোস্তর খোসার দাম ৩০ কোটি টাকা! আনন্দপুরের গুদামে হানা দিয়ে কলকাতা পুলিশের বড়সড় সাফল্য
বীরভূমে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন সিউড়ির দুই নেতা? শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একই মন্দিরে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’
সুকান্তর বদলে শুভেন্দু? বিজেপির অন্দরের খবর নিয়ে জোর জল্পনা, আরএসএসের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে দিলীপ ঘোষকে নিয়েও