সংক্ষিপ্ত

পেট্রোপণ্যের মূল্য হ্রাস হতেই রাজ্যেকে উদ্দেশ্য করে টুইট করলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে তিনি লেখেন সারা জাতিকে দিওয়ালির উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্য সরকারের উচিত তাদের তরফে পেট্রোপণ্যের শুল্ক কমানো।

বেশ কয়েক মাস ধরেই বেড়ে চলেছিল জ্বালানির দাম। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছিল তেলের দাম। যার জেরে নাজেহাল হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। কোনওভাবেই যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছিল না। তবে দিওয়ালির (Diwali) ঠিক আগেই কমল জ্বালানির দাম। পেট্রোলে (Petrol) লিটার প্রতি ৫ টাকা ও ডিজেলে (Diesel) লিটার প্রতি ১০ টাকা করে শুল্ক কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রকে নিশানা করে এসেছে রাজ্য সরকার। এবার পেট্রোপণ্যের মূল্য হ্রাস হতেই রাজ্যেকে উদ্দেশ্য করে টুইট করলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। টুইটারে তিনি লেখেন সারা জাতিকে দিওয়ালির উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্য সরকারের উচিত তাদের তরফে পেট্রোপণ্যের শুল্ক কমানো।

টুইটারে শুভেন্দু লেখেন, "পেট্রোলের উপর আরোপিত আবগারি শুল্ক ৫ টাকা এবং ডিজেলের উপর ১০ টাকা কমানোর যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছে তাঁকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।" তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টুইটে উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন, "দিওয়ালিতে দেশকে উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার রাজ্য সরকারের উচিত তাদের শুল্ক কমিয়ে পেট্রোপণ্যের দাম আরও কমিয়ে আনা।"

 

 

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে জিএসটি কাউন্সিল জ্বালানির দাম জিএসটি করের (GST taxation) আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা করে। ফলে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম (fuel prices) কমে যেতে পারে, বলে মনে করা হয়। এবার যদি আবগারি শুল্ক কমানো হয়, তবে তা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় স্বস্তির কারণ হবে। গত কয়েক বছর ধরে জ্বালানির দামের উর্দ্ধগতিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি  পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারকে ধারাবাহিকভাবে সমালোচনা করেছে তৃণমূল সরকারও। 

আরও পড়ুন- দীপাবলির উপহার, পেট্রল ডিজেলের দাম কমাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার

তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে একাধিকবার মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর দাবি, সপ্তাহে চার বার করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। ৩ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকেই রোজগার হয়েছে কেন্দ্রের। শুধু তাই নয়, নরেন্দ্র মোদীর সরকার মানুষের পকেট কাটছে বলেও তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ ছিল, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভরছে মোদী সরকার। 

আরও পড়ুন- বাংলার উন্নয়ন নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা অধীর চৌধুরির, নতুন স্থল বন্দর তৈরির প্রস্তাব

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, "দেশে শক্তির ঘাটতি যাতে না হয় এবং পেট্রোল ও ডিজেলের মতো পণ্যগুলি আমাদের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পদক্ষেপ সেই লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।" 

আরও পড়ুন- Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীরা যখন সুর চড়িয়েছিল, ঠিক তখনই শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৩৮ টাকা কর নিচ্ছে। কেন ২০ টাকা ছেড়ে দিচ্ছে না সরকার? যেদিন এই ২০ টাকা ছেড়ে দেবে সরকার সেদিন তেলের দাম কমানো নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করব। কেন্দ্রকে বলব, রাজ্য যদি ছাড়তে পারে তাহলে তোমরা কেন পারছ না?" আর এবার কেন্দ্রের তরফে আবগারি শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করায় রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। 

YouTube video player