সংক্ষিপ্ত

জি পরিবেশ বান্ধব কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে রাজ্য প্রশাসনকেই। সেই নির্দেশ মেনেই এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর জন্য নির্দেষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। 

কালীপুজোয় (Kali Puja) শহরে শব্দবাজির (Firecracker) তাণ্ডব রুখতে হেল্পলাইন নম্বর (Helpline Number) প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এবার বাজি ফাটানো নিয়ে অত্যন্ত কড়া প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এবার কালীপুজোতে শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজিই পোড়ানো যাবে। তাছাড়া আর কোনও বাজি পোড়ানো যাবে না। আর বাজি পরিবেশ বান্ধব কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে রাজ্য প্রশাসনকেই। সেই নির্দেশ মেনেই এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর জন্য নির্দেষ্ট সময়ও (Time) বেঁধে দেওয়া হয়েছে। 

সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, পরিবেশ অনুকূল থাকলে পরিবেশ বান্ধব বাজির ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না। সেই নির্দেশ সব রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে সেই নির্দেশ মানতে হবে পশ্চিমবঙ্গকেও (West Bengal)। এদিকে বাজি পোড়ানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "করোনার তৃতীয় ঢেউ (Corona Third Wave) আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় বাজি পোড়ানো, বিক্রি করার অনুমতি দেব কীভাবে? বৃহত্তর মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রেতা, বিক্রেতা, প্রস্তুতকারী সংস্থা সবার কথা ভাবতে হবে।" তারপরই সব ধরনের বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আরও পড়ুন- আগরতলার পুরভোটে মহিলাদের উপরই আস্থা তৃণমূলের, চমক দিতে ৫১ জনের মধ্যে ২৫ জনই মহিলা
 
এরপরই হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো হোক। বাতাসের মান যেখানে খারাপ, সেখানে পরিবেশ বান্ধব বাজিও পোড়ানো যাবে না। তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। কিন্তু, বাজি একেবারে নিষিদ্ধ করা যাবে না। ফলে এরপর পরিবেশ বান্ধব বাজি কেনা বা বিক্রির ক্ষেত্রে কোনও বাধা রইল না রাজ্যে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই হাইকোর্টও বাজি পোড়ানোর উপর ছাড় দিয়েছে। ২ ঘণ্টার জন্য বাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে। 

 

 

আরও পড়ুন- দিওয়ালির আগে সুখবর, অবশেষে হু-এর ছাড়পত্র পেল কোভ্যাক্সিন

হাইকোর্টের নির্দেশের পর সজাগ কলকাতা পুলিশ। নিয়মের যাতে একটু এদিক-ওদিক না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। কলকাতা পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। কোথাও নিয়মের বাইরে গিয়ে বাজি ফাটানো হলেই এবার সরাসরি সেই হেল্পলাইন নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে। প্রথম নম্বরটি হল ৯৮৭৪৯–০১৫২২। আর দ্বিতীয়টি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। অর্থাৎ, কোথাও কোনও নিয়ম ভাঙতে দেখলে হোয়াটসঅ্যাপ করেও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হল ৯৪৩২৬–২৪৩৬৫। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে পরিচয় গোপন করেও অভিযোগ জানাতে পারবেন যে কেউ।

আরও পড়ুন- দীপাবলিতে বাজি ফাটানো যাবে রাজ্যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর জন্য সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কালীপুজোতে মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য বাজি পোড়ানোর উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর ছট পুজোতেও বাড়ি পোড়ানোতে দেওয়া হয়েছে ছাড়। ওই দিন সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্রিসমাস ও বর্ষবরণেও ছাড় মিলেছে। ওই দু'দিন ৩৫ মিনিটের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাত ১১টা ৫৫ থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মিলেছে ছাড়। যদি পরিবেশ বান্ধব বাজি ছাড়া আর অন্য কোনও বাজি ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাহলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুলিশ। আর সেই কারণেই এই দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।