সংক্ষিপ্ত
'ভালোবাসার পর তাঁকে পুড়িয়ে ফেলার অধিকার আছে কি', নামখানা ধর্ষণকাণ্ডে মমতাকে প্রশ্ন তনুজার। এদিন নামখানায় আরও একটি ধর্ষণকাণ্ডের পর নির্যাতিতাকে দেখতে নামখানা হাসপাতালে গিয়ে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মহিলা মোর্চার প্রেসিডেন্ট তনুজা চক্রবর্তী।
'ভালোবাসার পর তাঁকে পুড়িয়ে ফেলার অধিকার আছে কি', নামখানা ধর্ষণকাণ্ডে মমতাকে প্রশ্ন তনুজার। রাজ্যে হাঁসখালি-সহ একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডের পর এবার নামখানায় আরও একটি ধর্ষণকাণ্ডে ক্ষোভ উগরে দিলেন মহিলা মোর্চার প্রেসিডেন্ট তনুজা চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে মালদহ, মাটিয়ার পর নদিয়ার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। একদিকে ঝালদা-বগটুই-এ রাজনৈতিক খুন, এর সঙ্গে একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে কার্যন্ত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্য়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল -সহ বিরোধীরা। যদিও হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে ভিন্নমত পেষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপর এদিন নামখানায় আরও একটি ধর্ষণকাণ্ডের পর নির্যাতিতাকে দেখতে নামখানা হাসপাতালে গিয়ে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মহিলা মোর্চার প্রেসিডেন্ট তনুজা চক্রবর্তী।
ভালোবাসার পর তাঁকে পুড়িয়ে ফেলার অধিকার আছে কি-তনুজা
তনুজা চক্রবর্তী বলেছেন, 'যদিও এই ঘটনা এখন নিত্যদিনের হয়ে গিয়েছে। আমরা গতকালই হাঁসখালি গিয়েছি।একই ঘটনা, গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য রাতারাতি নাবালিকার মৃতদেহকে কেরোসিন তেল জ্বালিয়ে দাহ করে দিয়েছে। যার জন্য এখন একটাও প্রমাণ নেই। আর যার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় লাভ এফেয়ার হতে পারে। কিন্তু পৃথিবীতে কোথাও কি এমন কিছু সংবিধানে আছে, যে কেউ কাউকে ভালোবাসার পর তাঁকে পুড়িয়ে ফেলার অধিকার আছে। আমরা জানি না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়তো এর উত্তর পরেরদিন দেবেন। আজকেও দেখু এখানে একই ঘটনা ঘটেছে। গণধর্ষণের পর নির্যাতিতার গায়ে অ্যাসিড অথবা তেল জাতীয় কিছু দেওয়া হয়েছে। গায়ে ফোস্কা পড়েছে। যদিও আমাদের কাছে কোনও ফরেন্সিক রিপোর্ট নেই। খুনের চেষ্টা করা হয়েছে, এটা পরিষ্কার', বলেন তনুজা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন, ধৃত সত্যবানের হোটেল থেকেই কি তপন কান্দু খুনের ষড়যন্ত্র ? বিস্ফোরক তথ্যের তদন্তে সিবিআই
শুনেছি ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল-মমতা
প্রসঙ্গত, সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে হাঁসখালির ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন , হাঁসখালিতে ধর্ষণ বলবেন না কি প্রেম না অন্তঃসত্ত্বা নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন। আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী। ঘটনাটা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু, শুনেছি ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।' এরপরই 'মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন', প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি আরও বলেন, 'কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কী ভাবে এর তদন্ত করবে পুলিশ'।
পরিবারের লোকজন তৃণমূলের সদস্য হিসেবে অভিযোগ ওঠার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'কারও বাবা-দাদা যদি তৃণমূল করে আর সেই ছেলে যদি প্রেম করে তাহলে কার কী করার আছে। বাংলার রাজ্যটায় সবাই তৃণমূল। কী করবেন বলুন। তৃণমূলকে টানার কী দরকার। তৃণমূল শুনলেই চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।'এই ঘটনার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের তুলনা টেনে আরও বলেন, 'এটা কি উত্তরপ্রদেশ যে আমরা লাভ জেহাদ নিয়ে আলোচনা বসাব, এটা বাংলা। গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনওরকম রং না দেখেই গ্রেফতার করা হয়েছে।' তবে মমতার এই মন্তব্যের পর থেকেই বিতর্কের ঝড় রাজ্যে।