সংক্ষিপ্ত
ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে সত্যবাণ প্রামাণিককেই প্রথম গ্রেফতার করে সিবিআই। আর এই সত্যবানকে নিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো।সত্যবাণ গ্রেফতারে খুশি তপন কান্দুর স্ত্রী।
ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে সত্যবাণ প্রামাণিককেই প্রথম গ্রেফতার করে সিবিআই। আর এই সত্যবানকে নিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো। তাঁর দাবি ধৃত সত্যবাণ প্রামাণিক ঝালাদা ১ নং ব্লকের সম্পাদক ছিলেন। তার আরও দাবি সত্যবানের হোটেলের থেকেই ঝালদা থানার ডাকবাবু লরির স্লিপ বিলি করতেন। সেই হোটেল থেকেই তপন কান্দু খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে অনুমান সিবিআই আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কাউন্সিলরের দাদা নরেন কান্দুর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেই তপন কান্দুকে খুন করা হয়েছে। সিবিআই-র আরও অনুমান, এই হোটেলের বাইরেই প্রত্যেকদিন তাঁদের বৈঠক হত, আড্ডা বসত। সেই সময়েই হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তবে ধৃত সত্যবানের ভাইপো মুখ খুলতেই, সিবিআই-র এই অনুমান উসকে গিয়েছে।
নরেন কান্দু যে সত্যবানের হোটেলে আসত, একথা স্বীকার করে নিয়েছেন ধৃত সত্যবানের ভাইপো
নরেন কান্দু যে সত্যবানের হোটেলে আসত, একথা স্বীকার করে নিয়েছেন ধৃত সত্যবানের ভাইপো অজয় প্রামাণিক। তিনি বলেছেন, নরেন কান্দু শুধু কেন, সবাই আসত। কাকে বারণ করব, হোটেল যখন হয়েছে, তখন তো সবাই আসবে। নরেন কান্দুর সঙ্গে ধৃত সত্যবান প্রামাণিকের জমি-জমা নিয়ে সম্পর্ক ছিল, সেকথাও জানিয়েছেন ধৃত সত্যবানের ভাইপো অজয় প্রামাণিক। তিনি আরও বলেছেন, 'যেদিন তপন কান্দু খুন হয়েছেন, তারপর থেকেই নরেন কান্দু আর আসতো না। তবে অজয় প্রামাণিক আরও বলেন, আমাদের হোটেলের এখান থেকে কোনও খুনের পরিকল্পনা হয়নি। ভিতরে কেউ আসতো না। যারা আসত, বাইরে বসেই গল্প করতো।' উল্লেখ্য, এই সত্যবাণ প্রামাণিককে জেলা পুলিশ প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। কিন্তু তখনও জেলা পুলিশের তরফে তখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সিবিআই তদন্তে আমি খুশি-পূর্ণিমা কান্দু
পরবর্তী সময়ে সিবিআই ফের তাঁকে ডেকে পাঠান। সেইসময় তার বক্তব্য কিছু অসঙ্গি দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের হাতে আরও এমন কিছু ছবি আসে, যাতে সত্যবাণের ঘটনায় যুক্ত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, সত্যাবানের গ্রেফতারির পর নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, সিবিআই তদন্তে আমি খুশি। এই জন্যই আমি সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলাম। কারণ প্রথম থেকেই কিছুই করেনি পুলিশরা। যখন সত্যবাণ প্রামাণিক ধরা পড়েছে, সিবিআই তদন্ত হলে বোঝা যাবে, এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে। বোর্ড গঠন নিয়েই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানান ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।
আরও পড়ুন, 'ভালোবাসার পর তাঁকে পুড়িয়ে ফেলার অধিকার আছে কি', ধর্ষণকাণ্ডে মমতাকে প্রশ্ন তনুজার