সংক্ষিপ্ত

রীতি মেনেই শুরু হল মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বীরভূমের নাকপুর গ্রামের জমিদার প্রতিষ্ঠিত দুর্গাপুজো।  জমিদার বাড়িতে কথিত আছে, নবমীর যজ্ঞের কলা খেলে নিঃসন্তান মহিলা সন্তান লাভ করেন।


 

রীতি মেনেই শুরু হল বীরভূমের নাকপুর গ্রামের (Zamindar) জমিদার প্রতিষ্ঠিত দুর্গাপুজো (Durgapujo )। কথিত আছে, নবমীর যজ্ঞের কলা খেলে নিঃসন্তান মহিলা সন্তান লাভ করেন।আনুমানিক ১৭৫ বছর আগে পুজো শুরু করা হয়েছিল। ঘোষ ও রায় পরিবারের সদস্যরা এখন যৌথভাবে পুজো চালিয়ে আসছে পালা করে।

আরও পড়ুন, Flood: রেকর্ড বৃষ্টিতে নদীর জলের তোড়ে ভাসল বাঁকুড়া, জল বিপদ সীমার উপরে, বিচ্ছিন্ন রাজ্যসড়ক
 বৃহস্পতিবার থেকেই সন্ধ্যারতি দিয়ে শুরু হল মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বীরভূমের নাকপুর গ্রামের জমিদার প্রতিষ্ঠিত দুর্গাপুজো। এক সময় পুজোর দায়িত্ব ঘোষ ও রায় পরিবার যৌথভাবে চালিয়ে আসছিল। কিন্তু বছর দশেক থেকে রায় পরিবারও পুজোর দায়িত্ব আলাদা ভাবে কাঁধে তুলে নিয়েছে। দুই পরিবার পালা করে পুজো করে আসছে। এবার পুজোর দায়িত্ব পেয়েছে রায় পরিবার।  পুজো কবে থেকে শুরু হয়েছিল তার দিনক্ষণ এখন আর জানা নেই। তবে আনুমানিক ১৭৫ বছর আগে পুজো শুরু করা হয়েছিল বলে দাবি করেন পুজোর অন্যতম কর্তা সুনীতি কুমার ঘোষ। তিনি জানান, এক সময় ঘোষ পরিবার পুজো চালিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্য শচীনন্দন ঘোষের কোনও পুত্র সন্তান ছিল না। ফলে মেয়ের পরিবার পুজোয় অংশগ্রহণ করেছিল। ফলে ঘোষ ও রায় পরিবারের সদস্যরা এখন যৌথভাবে পুজো চালিয়ে আসছে পালা করে। বছর দশেক ধরে এভাবেই চলে আসছে জমিদার বংশের পুজো। রীতি মেনেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল পুজো। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি এবং ঢাক বাজিয়ে মা দুর্গার আহবান করা হয়। ষষ্ঠীর দিন থেকে রীতি মেনে পুজো শুরু হয়। পুজো চারদিন প্রতিদিন ২০ কেজি করে আতব চাল, তিন কেজি আটা, ছানার মুন্ডা, নারকেলের নাড়ু ভোগ দেওয়া হয়। সুনীতিবাবু বলেন, “এক সময় চাল, আটা গ্রামের ব্রাহ্মণদের দেওয়া হত। কিন্তু দিন দিন গ্রামে ব্রাহ্মণের সংখ্যা কমতে থাকায় এখন সেই ভোগের নৈবেদ্য কাহার, নাপিত, কোটাল এবং ব্রাহ্মণদের মধ্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। তবে অষ্টমীর সন্ধি পুজোয় গোটা গ্রামের মানুষকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।'

আরও পড়ুন, Bhabanipur By Election 2021: ভোট দিলেন মমতা, বেরিয়েই চেনা হাসিতে দেখালেন নমস্কার

এই পুজোর বিশেষত্ব হচ্ছে নবমির যজ্ঞের কলা খেলে নিঃসন্তান মহিলা সন্তান ধারণ করতে পারবে। সেই কারনেই প্রতিবছর একজন করে মহিলারা এসে কলা নিয়ে যান। যজ্ঞের কলা পাওয়ার জন্য আগে থেকেই অনেকে নাম লিখিয়ে রাখেন। আগে এলে আগে পাবেন এই ভিত্তিতেই যজ্ঞের কলা দেওয়া হয়। সুনীতিবাবু বলেন, “এক সময় গ্রামে পুজো বলতে আমাদের জমিদার বাড়ির পুজো। ফলে দূরদূরান্তের গ্রাম থেকে মানুষ পুজোয় অংশগ্রহণ করতেন। রাতে ফেরার ব্যবস্থা না থাকায় সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হত। এখনও সেই রীতি চলে আসছে”। তিনি আরও বলেন, “পুজোয় মা দুর্গাকে যে নৈবেদ্য দেওয়া হয় তার মিষ্টি গোঁড়া হয় বাড়িতেই। বাড়ির মহিলারা বেশ কয়েকদিন ধরে সেই রকমারি মিষ্টি তৈরি করেন। এদিন থেকেই কার্যত শুরু হয়ে গেল পুজো।'

  আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

YouTube video player