সংক্ষিপ্ত

  • আট মাস বন্ধ থাকার খুলছে বিজ্ঞান কেন্দ্র
  • লকডাউনের আগে থেকে বন্ধ ছিল
  • কালীপুজোর আগেই খুলছে পুরুলিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র
  • ১০ নভেম্বর থেকে সর্ব সাধারণের জন্য খুলবে
     

বুদ্ধদেব পাত্র, পুরুলিয়া-করোনা আতঙ্কে লকডাউনের সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়ার জনপ্রিয় বিজ্ঞান কেন্দ্র। অবশেষে দীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পর খুলছে সেটি। কালীপুজোর আগে ১০ নভেম্বর থেকে সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে বিজ্ঞান কেন্দ্রটি খোলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-'একসঙ্গে কাজ করে এগিয়ে যাব', ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদীর

১৯৮২ সালে এশিয়া মহাদেশের প্রথম পুরুলিয়াতে জেলা স্তরে বিজ্ঞান কেন্দ্রের পথচলা শুরু হয়। যদিও, এর বহু বছর আগে ১৯৬৬ সালে বিজ্ঞান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পুরুলিয়া বিজ্ঞান মঞ্চের সূচনা। পরে ১৯৮২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনে স্বীকৃতি লাভ করে পুরুলিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র। সেই সময় কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে প্রথম বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল। সেই হিসেবে পুরুলিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের গুরুত্ব বরাবরই আলাদা। 

আরও পড়ুন-করোনা আবহে সামান্য স্বস্তি, রাজ্য়ে সামান্য কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমণে এখনও শীর্ষে কলকাতা

পর্যটনের মরসুমে দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের কাছে পুরুলিয়া শহরের কেন্দ্রে সাহেব বাঁদের পাড়ে গড়ে ওঠা এই বিজ্ঞান কেন্দ্র বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পুরুলিয়ায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা ওই বিজ্ঞান কেন্দ্রে থ্রি-ডি সিনেমা, ডাইনোসর পার্ক, বিজ্ঞান উদ্য়ান ইনোভেশন হাব দেখে আনন্দ পান। কিন্তু করোনার থাবায় গত ২১ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল এই বিজ্ঞান কেন্দ্রটি। অবশেষে আট মাস পর ১০ নভেম্বর খুলছে পুরুলিয়ার এই বিজ্ঞান কেন্দ্র।

আরও পড়ুন-মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিলীপের

করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে খুলে দেওয়া হচ্ছে এই বিজ্ঞান কেন্দ্রটি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিড় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুলছে এই জনপ্রিয় বিজ্ঞান মঞ্চ। আগের নিয়ম মতোই প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পাশাপাশি, কালীপুজোর পর থেকে পুরুলিয়ায় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা, করোনা আবহের মধ্য়েও পুজোর সময় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় ছিল পর্যটকদের। কালী পুজোর পর পর্যটকদের সংখ্যা বাড়াতে পারে আশা বিজ্ঞান কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের।