সংক্ষিপ্ত

বেশ কয়েকদিন ধরেই হাতির পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন এলাকায়। পিকনিক করতে আসা পর্যটকরা জঙ্গলের ভেতর প্রবেশ করে যাতে বুনোহাতির মুখোমুখি না পড়ে যান, বা হাতির হামলার শিকার না হন তার জন্য বনদপ্তর কর্মীরা মাইক নিয়ে করছেন সতর্কতামূল প্রচার।

শীতের শুরু থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই হাতি হানার খবর আসতে থাকে। কখনও বর্ধমান তো কখনও জলপাইগুড়ি, দাঁতালদের আক্রমণে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয় আম-আদমির মধ্যে। এবার পালা পুরুলিয়ার। ইতিমধ্যেই বাগমুন্ডি বন দপ্তরের(Forest Department) পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে যে জঙ্গলের ভেতর বন্য হাতি আছে। তাই কাউকে পুরুলিয়ার জঙ্গলের(forest of Purulia) ভেতর প্রবেশ করতে নিষেধ করা হচ্ছে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে। এমনকী বন দপ্তরের নির্দেশিকা অমান্য করলে যে কোনও সময়েই যে বিপদ ঘনাতে পারে সেই বিষয়েও সতর্ক করা হচ্ছে সকলকে। এদিকে নতুন বছরের প্রথম দিনে পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি বনাঞ্চলের(Bagmundi forest of Purulia) অযোধ্যা পাহাড়(Ayodhya hills) সহ জঙ্গল লাগোয়া বিস্তীর্ণ অংশে যখন পিকনিকের থিকথিকে ভিড়, সেই সময় বাগমুন্ডি বন দফতরের কর্মীরা বুনো হাতির হামলা থেকে বাঁচতে রাস্তায় নেমে মাইক নিয়ে করছেন ঘোষণা। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে মাইকিং করার পরেই পর্যটকদের মধ্য ছড়িয়েছে হাতির আতঙ্ক।

সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই হাতির পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন এলাকায়। পিকনিক করতে আসা পর্যটকরা জঙ্গলের ভেতর প্রবেশ করে যাতে বুনোহাতির মুখোমুখি না পড়ে যান, বা হাতির হামলার শিকার না হন তার জন্য বনদপ্তর কর্মীরা মাইক নিয়ে করছেন ঘোষণা। গভীর জঙ্গলে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বাঘমুন্ডি বনদপ্তর। তবে বর্ষবরণের আমেজ গায়ে মেখে রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি ভিড় বেড়েছে পুরুলিয়াতেও। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় এদিন ছিল পর্যটকদের পিকনিকের ভিড়। কিন্তু তারমধ্যেই বুনো হাতির দাপাদাপির খবর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় সকলের মধ্যে।

আরও পড়ুন- সন্ধ্যে নামলেই পাগলা কুকুরের ভয়ে তটস্থ পুরুলিয়া শহর, ইতিমধ্যেই কুকুরের কামড়ে আহত ১২

গতকাল অর্থাৎ ৩১সে ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের ঢল রয়েছে অযোধ্যা পাহাড়ে। আজ বছরের প্রথম দিনে গতকালের থেকেও তুলনামূলক ভাবে ভিড় রয়েছে বেশি।গ ত বছরের চেয়েও এবারের শীতের মরশুমে পুরুলিয়ার অযোধ্যা,পঞ্চকোট,জয়চন্ডী,বড়ন্তি সহ প্রতিটি স্পটে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। বড়দিন থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় বাঘমুন্ডি থানার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে বারেবারেইগভীর জঙ্গলে নিষেধ করা হচ্ছে বারেবারেই। হাতির আনাগোনা রয়েছে ওই সমস্ত এলাকাগুলিতে। এছাড়াও বন দপ্তরের পক্ষে থেকে সাফ জানানো হয়েছে থার্মোকলের পাতা প্লাস্টিক গ্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবেনা। তাতে খাবারের গন্ধে সহজেই হানা দেবে হাতির পাল। পাশাপাশি জঙ্গল পরিষ্কার রাখার জন্যও সকলের কাছে আবেদন করা হচ্ছে। সাথে সাথে করোনা সচেতনতার বিশয়েও চলছে জোরদার প্রচারভিযান।