সংক্ষিপ্ত
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে আরও একটি বৈঠক রয়েছে। তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ নিয়েই বৈঠক হতে পারে। তাজপুর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
এপ্রিল মাসেই রয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আর তার আগেই নবান্নের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করল আদানি গোষ্ঠী (Adani group)। বৃহস্পতিবারই নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর এক শীর্ষ আধিকারিক বৈঠক করেন বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি শিল্পপতিদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে গিয়েও বণিকসভা থেকে শিল্পপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। এমনকী, মুম্বইতে গিয়েও শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে আরও একটি বৈঠক রয়েছে। তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ নিয়েই বৈঠক হতে পারে। তাজপুর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন গৌতম আদানি। তারপর তাঁর ছেলে তথা আদানি পোর্টের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার করণ আদানিও বৈঠক করেছিলেন। আর এবার কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে এলেন ওই সংস্থার দূত।
আরও পড়ুন- পুরভোটের প্রাক্কালে কোলে লক্ষীর ভাঁড়, শঙ্খ বাজিয়ে দুয়ারে অভিনব প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী
রাজ্য সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, তাজপুরে বন্দর পরিকাঠামো গড়ার জন্য হাতে প্রায় এক হাজার একর জমি রয়েছে। যে এলাকায় প্রকল্পটি তৈরি হবে সেখানে যোগাযোগেরও সেভাবে কোনও সমস্যা নেই। প্রকল্পের নির্মাতা সংস্থার নির্বাচন চূড়ান্ত করলেই কাজ দ্রুত শুরু হবে। তাজপুরে তৈরি হবে গভীর সমুদ্র বন্দর। নির্মাণের জন্য দরপত্র চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রাজ্য সরকার দরপত্র চাওয়ার পর এই প্রকল্পে আগ্রহ দেখায় ১০টি সংস্থা। সেগুলির মধ্যে থেকে চারটি সংস্থাকে বেছে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে আদানি ছাড়াও বিদেশি সংস্থাও রয়েছে। চারটি সংস্থাই তাজপুর এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।
আরও পড়ুন- নেতৃত্বের নির্দেশের পরও অনড়, ৭ জেলায় পুরভোটে ৪৪ জন ‘নির্দল’-কে বহিষ্কার তৃণমূলের
দরপত্র পেশ করার তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরই নবান্নে শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আদানি গোষ্ঠীর কর্তারা। অনুমান করা হচ্ছে, তাজপুরে বন্দর তৈরি করার দায়িত্ব পেতে পারে আদানি গোষ্ঠীই। যদিও নবান্নের তরফে এখনও পর্যন্ত এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। শুক্রবার সেই কারণেই এই বৈঠক করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- হুডখোলা টোটোতে তৃণমূলের প্রার্থী, পুরভোটের প্রাক্কালে এবার নয়া চমক চাপদানিতে
পশ্চিমবঙ্গ–সহ ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম এবং একাধিক রাজ্যে বাণিজ্যের মূল প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে এই তাজপুর বন্দর। পাশাপাশি এই প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি সরকারের। পলি পড়ে যাওয়ার কারণে হলদিয়া বন্দরে বড় জাহাজ ঢুকতে পারছে না। তাই মাঝ সমুদ্রে গিয়ে ‘শিপ টু শিপ’ লোডিং করতে হচ্ছে, তার ফলে খরচও বাড়ছে। কিন্তু, গভীর সমুদ্রে বন্দর তৈরি হলে তাজপুরে সরাসরি বড় জাহাজ ঢুকে যাবে।