সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার সকালে প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি অপেক্ষা করার পর অবশেষে ভোলে বোম রাইস মিলে প্রবেশ করে সিবিআই-এর গাড়ি। গোরু পাচার মামলার টাকা হাত বদল হয়ে এই মিলে আসত কি না সেই বিষয় তদন্ত চালাতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের নজরে পরে মিলের পেছন দিকের একটি গ্যারাজ। সেই গ্যারাজে তল্লাশি চালিয়ে রীতিমত হতবাক তদন্তকারীরা। গ্যারাজের মধ্যে রয়েছে সারি সারি বিলাশবহুল গাড়ি।
অনুব্রতকে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রহস্য। তদন্তে উঠে আসছে একের পর পর নতুন তথ্য। এবার বোলপুরের বোম ভোলে রাইস মিলে হানা দিয়ে সিবিআই-এর হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিল জুড়ে রয়েছে সারি সারি বিলাশবহুল গাড়ি। কার এই গাড়ি? কী কাজেই বা ব্যবহৃত হত এই গাড়ি? গোটা ঘটনা ঘিরে ভিড় করছে একাধিক প্রশ্ন।
শুক্রবার সকালে প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি অপেক্ষা করার পর অবশেষে ভোলে বোম রাইস মিলে প্রবেশ করে সিবিআই-এর গাড়ি। গোরু পাচার মামলার টাকা হাত বদল হয়ে এই মিলে আসত কি না সেই বিষয় তদন্ত চালাতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের নজরে পরে মিলের পেছন দিকের একটি গ্যারাজ। সেই গ্যারাজে তল্লাশি চালিয়ে রীতিমত হতবাক তদন্তকারীরা। গ্যারাজের মধ্যে রয়েছে সারি সারি বিলাশবহুল গাড়ি। প্রায় প্রত্যেকটি গাড়িতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তৃণমূলের ব্যাজ। তৃণমূলের স্টিকারও লাগানো ছিল গাড়িগুলিতে। এখন প্রশ্ন কার এই গাড়ি? কী কাজেই বা ব্যবহৃত হত গাড়িগুলি? মিলের কর্মীদের এই বিষয় প্রশ্ন করা হলে বেশিরভাগই এড়িয়ে গিয়েছেন। বাকিদের থেকে সন্তষজনক কোনও উত্তর মেলেনি।
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয় তৃণমূলের দুঁদে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পর থেকেই নানা ঘটনাক্রমের মাধ্যমে বারবার শিরোনামে উঠে আসে ভোলে বোম রাইস মিলের নাম। এবার বোলপুরের সেই ভোলে বোম রাইস মিলে পৌঁছল সিবিআই-এর ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তবে আধ ঘন্টার বেশি সময় হয়ে গেলেও খোলেনি রাইস মিলের দরজা। এমনকী রাইস মিলের কর্মীদের সিবিআই আধিকারিকদের কথা হওয়া সত্ত্বেও খোলা হয়নি রাইস মিলের দরজা। ফলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। তদন্তের কাজ। প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে রাইস মিলের বাইরেই অপেক্ষা করার পর রাইস মিলের এক কর্মী বাইরে এলেও মিলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি সিবিআই আধিকারিকদের। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ভেতর থেকে খোলা হয় রাইস মিলের গেট। দীর্ঘ ৪০-৫০ মিনিট অপেক্ষা করার পর রাইস মিলে প্রবেশ করল সিবিআই-এর গাড়ি।
আরও পড়ুন - বোলপুরের ভোলে বোম রাইস মিলে সিবিআই হানা, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর অবশেষে খুলল মিলের দরজা
সূত্রের খবর বীরভূমে একাধিক মিলের মালিক অনুব্রত। এই মিলগুলির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত কী না বা গোরু পাচার কাণ্ডে টাকা হাত বদল হয় হয় এই মিলগুলিতে আসত কী না সেই বিষয় তদন্তের জন্য এই মিলগুলিতে হানা দেয় সিবিআই।
শুধু ভোলে বোম রাইস মিল নয়, এছাড়াও অনুব্রতর নামে একাধিক মিল রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনকি এই মিলে সুকন্যারও যাতায়াত ছিল বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন - অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা নাকি পড়ুয়াদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন, দাবি তার সহকর্মীর