সংক্ষিপ্ত
যেখানে অনুব্রত মন্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে টেট পরীক্ষা না দিয়েই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, এবং শোনা যাচ্ছে যে তিনি নাকি আদেও স্কুলে যাননি কোনোদিন। সেখানে সুকন্যা মণ্ডলের এক সহকর্মী দাবি করেছেন যে পড়ুয়ারা নাকি খুব পছন্দ করতেন অনুব্রত কন্যাকে।
যেখানে অনুব্রত মন্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে টেট পরীক্ষা না দিয়েই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, এবং শোনা যাচ্ছে যে তিনি নাকি আদেও স্কুলে যাননি কোনোদিন। সেখানে সুকন্যা মণ্ডলের এক সহকর্মী দাবি করেছেন যে পড়ুয়ারা নাকি খুব পছন্দ করতেন অনুব্রত কন্যাকে। তিনবছর আগে তিনি চাকরি পেয়েছেন বাড়ির থেকে তিন মিনিট দূরত্বে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আদেও পরীক্ষায় পাশ না করেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন তিনি। বোলপুরের কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা নাকি স্কুলেই যেতেন নাম তার বাড়িতে নাকি হাজিরা খাতা পৌঁছিয়ে দেওয়া হতো এবং তিনি সই করে দিতেন। কিন্তু তার এক সহকর্মীর গলায় উল্টো সুর। সেই শিক্ষকের দাবি হাসিখুশি সুকন্যা নাকি নিয়মিত স্কুলে যেতেন। শিক্ষার্থীরাও খুব পছন্দ করতেন তাকে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হাইকোর্টে যাদের তলব করেছেন সেই তালিকায় সুকন্যা ছাড়াও রয়েছেন সুমিত মণ্ডল, অর্ক দত্ত, সাত্যকি মণ্ডল, কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদি। এঁরা সকলেই অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, যাঁরা স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরিতে বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে সে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও রীতিমত চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতার দাবি যে মেয়ে সব পাশ করেছে, সার্টিফিকেটও আছে। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে এক নয় একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এক, সে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও সরকারি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়ে গিয়েছে। দুই, সে জীবনেও সেই স্কুলে ক্লাস নিতে যায়নি, তার বাড়িতে আসতো বিদ্যালয়ের উপস্থিতির রেজিষ্টার। তিন, কেবল একটি সরকারি চাকরিই নয় একটি বেসরকারি চাকরিও নাকি করেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে। কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়ে সুকন্যার চাকরির বিষয়টি আদালতকে জানান। সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে এসমস্ত অভিযোগ ওঠায় তাকে বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের সময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে ডেকে পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতা এসে পৌঁছিয়েছেন অভিযুক্ত নেতার মেয়ে। গ্রেফতারির পর থেকে এতদিন পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। কিন্তু মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর মুখ খোলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
আপাতত স্বস্তি কেষ্ট-কন্যার, টেট সংক্রান্ত মামলায় হাজিরার নির্দেশ খারিজ করল আদালত
কলকাতা হাইকোর্টের অন্দরে আইনজীবী বনাম বিচারপতির ঝগড়া যেন তিন শালিকের গল্প!
মন্ত্রীদের পাইলটকারে 'না', মন্ত্রিসভার বৈঠক কড়া নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের
আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার পথে একটি টিভি চ্যানেলকে আরও বলেন, এদিন অনুব্রত মেয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার বলেছেন, ‘আমার মেয়ে ভাল আছে। আমার মেয়ের পাশ করা আছে। সার্টিফিকেট আছে। চিন্তার কারণ নেই।' এদিন তিনি আরও যোগ করেছেন, 'যা বোঝার আদালত বুঝবে। তলব করেনি মেয়েকে। নথি জমা দিতে বলেছে।’