সংক্ষিপ্ত
অভিযোগ মাঝে মধ্যেই, প্রতিবেশী বাবুসোনা শেখ নানা ভাবে কাশ্মিরাকে উত্যক্ত করতে থাকে। তা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার ঝামেলা হয়েছিল বলেও জানা যায়।
গোটা বাংলা জুড়েই যেন নারী নির্যাতনের পরিমাণ হু হু করে বেড়ে চলেছে। এমতাবস্থায় এবার বৌমার সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে প্রতিবেশী যুবকের হাতে আক্রান্ত হলেন শ্বশুর। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের মিঠাখালি গ্রামে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আবেদ আলি মোল্লা। এ বিষয়ে শুক্রবার ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তর ছেলে সফিকুল মোল্লা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আবেদ আলির ছোট ছেলে গাড্ডু মোল্লা কাজের জন্য কলকাতায় থাকেন। সপ্তাহে একবার করে বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী কাশ্মিরা থাকেন। অভিযোগ মাঝে মধ্যেই, প্রতিবেশী বাবুসোনা শেখ নানা ভাবে কাশ্মিরাকে উত্যক্ত করতে থাকে। তা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার ঝামেলা হয়েছিল বলেও জানা যায়। তারপরেও আটকানো যায়নি বাবুশোনাকে।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত্রি পৌনে বারোটা নাগাদ আচমকাই তাঁর ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে বাবুসোনা। সেই শব্দ শুনে কাশ্মিরার শ্বশুর আবেদ আলি সেখানে ছুটে এলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে অভিযুক্ত বাবুসোনা। গুরুতর জখম হন তিনি। সেই সুযোগেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাবুসোনার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান আক্রান্ত ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত বাবুসোনাকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
এদিকে গত কয়েক বছরে বাংলায় নারী নির্যাতনের পরিমাণ অনেকটা বাড়লেও সবাইকে ছাপিয়ে বরাবরই শীর্ষ স্থানে থেকেছে উত্তরপ্রদেশয ২০১৯-২০ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের পাতাতেই তা স্পষ্ট। দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে প্রতি ১০০ জন বিবাহিতার মধ্যে ৩৫ জন গার্হস্থ্য নির্যাতনের শিকার। পশ্চিমবঙ্গে এই পরিসংখ্যান ২৭ শতাংশ। যদিও তাও যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক তা মানছেন সকলে। তবে ২০২০ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে, অন্যদিকে এই তালিকায় দু-নম্বরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তবে বর্তমানে বাংলার অবস্থাও যে ধীরে ধীরে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে তা মানছেন সকলেই।