সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের টার্গেট ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে নিশানা করে ত্রিপুরা ইস্যুতে কড়া সমালোচনা অনুব্রত মণ্ডলের।
আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ‘বেঙ্গলে আমরা প্রথম হয়েছি। এবার খেলব ২০২৪ সালে দিল্লিতে। দিল্লির মাটিতে ফাইনাল খেলা হবে’। রবিবার সিউড়িতে বিদ্যুৎ পর্ষদের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্বর্ধনা সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
সম্প্রতি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আই এন টি টি ইউ সি’র জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য। এর আগে ওই পদে ছিলেন সিউড়ির নুরুল ইসলাম ও বোলপুরের বিকাশ রায়চৌধুরী। নব নির্বাচিত সভাপতির উদ্যোগে রবিবার সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভার আয়োজন করা হয়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত বলেন, “আমি ত্রিদিবকে বলব একা কিছু করা যাবে না। নুরুল, বিকাশদাকেও ডাকতে হবে”। বিদ্যুৎ দফতরের কীর্ণাহারের এক কর্মীর নাম না করে অনুব্রত বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের সময় ওই এলাকায় লোডশেডিং করে দিয়েছিল। আরও একজন বিধানসভায় আমাদের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু কিছু করতে পারেননি। খেলায় আমরা জিতেছি। বেঙ্গলে সে খেলায় আমরা ফার্স্ট হয়েছি। এবার ফাইনাল খেলা হবে। দুবছর পরে সেই ফাইনাল। চিন্তা করবেন না। দিল্লির মাটিতে সেই খেলা হবে। বেঙ্গল থেকে সেই খেলা খেলতে যাব। মানুষের জন্য জয়লাভ করে আসব। কারন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠকাতে জানে না। বলেছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করবে। চালু করে দেখাল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা রাখেন না- এমন অনুযোগ করে তিনি নরেন্দ্র মোদীকে ' মিথ্যাবাদী' বলে তোপ দাগেন।
'কেন CAA জরুরি', আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে তা বোঝালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
'মুক্তির চুমু', তালিবানদের হাত থেকে নিস্তার পেয়ে ভারতের বিমানে আহ্লাদে আটখানা ছোট্ট শিশু
ভারতের করোনা যুদ্ধ বড় হাতিয়ার ZyCoV-D, জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র কোভিড ১৯ টিকাকে
ত্রিপুরায় দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচার নিয়ে অনুব্রত বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে হয়েছে। ভেবেছিল বাংলাতে অন্ধকার নামিয়ে আনবে। কিন্তু বাংলার মানুষ গর্জে উঠেছিল। তোমাকে বিশ্বাস করেনি। ত্রিপুরাতে তৃণমূলের কর্মী নেতারা গেলে হোটেলে থাকতে দিচ্ছ না। লাইন কেটে দিচ্ছে। এটা কি রাজনীতি? তোমারা তো পরিযায়ী পাখির মত এসেছিলে বাংলায়। আমরা তো কিছু করিনি। দেখা হবে ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় কী হয়”। দুবরাজপুর বিধানসভায় পরাজয় নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল দুঃখ প্রকাশ করেন। বলেন, “এটা আমার ভাগ্যের দোষ। কারো দোষ নয়। আমি আমার ২১ টা আসনের মধ্যে একমাত্র ১ টিতে হেরেছি। তবে ২০২৬ সালে তা পুষিয়ে নেব”।