সংক্ষিপ্ত

আহত মৎস্যজীবী গোসাবার সোনাগাঁয়ের বাসিন্দা তিনি। গত রবিবার চার সঙ্গীর সাথে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। এদিন যখন নৌকায় বসে মাছ ধরছিলেন, ঠিক তখন একটি বাঘ পিছন থেকে সাঁতরে এসে নৌকায় বসে থাকা গৌরহরির মুখে থাবা বসায়।

শীতের মরসুমের শুরুতে সুন্দরবনে বাঘের দেখা পাওয়াতে স্বভাবতই খুশি হয়েছিলেন পর্যটকের দল। এমনকী গোটা অঞ্চলেই ভীড় বেড়েছে পর্যটকদের(tourist)। আর তাতেই চিন্তা বেড়েছিল স্থানীয়দের। প্রতি বছরই এই সময় বাঘের হানায় প্রাণ যায় সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার বহু মানুষের। এবারও তার অন্যথা হল না। ফের বাঘের হানায় (Tiger Attack) জখম হলেন মৎস্যজীবী((Fisherman))। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের( (South 24 Parganas-Sundarbans)) হলদিবাড়ি জঙ্গল লাগোয়া খোলাপাতা জঙ্গল এলাকায়। জখম মৎস্যজীবীর নাম গৌরহরি মাইতি।

সূত্রের খবর, আহত মৎস্যজীবী গোসাবার সোনাগাঁয়ের বাসিন্দা তিনি। গত রবিবার চার সঙ্গীর সাথে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। এদিন যখন নৌকায় বসে মাছ ধরছিলেন, ঠিক তখন একটি বাঘ পিছন থেকে সাঁতরে এসে নৌকায় বসে থাকা গৌরহরির মুখে থাবা বসায়। কোনমতে বাঘকে ঠেলে নৌকা থেকে ফেলে দেন তিনি। এরপর সঙ্গীরাই বাঘের সাথে লড়াই করে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বন দফতরের সাহায্যে তাঁকে প্রথমে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য।

আরও পড়ুন- একাই লড়ছে কংগ্রেস, বেশির ভাগ আসনেই মুখোমুখি লড়বে বামের সাথে

কিন্তু সেখানে দ্রুত অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাঁর। এরপর তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর মাথায় ও ঘাড়ে গুরুতর চোট লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে বাঘার হানা শুরু হতেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামের অন্যান্য মৎস্যজীবীদের মধ্যেও। এদিকে আহত মৎস্যজীবীর চিকিৎসা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় গোটা পরিবার। এদিকে সপ্তাহ তিনেক আগে সুন্দরবনের নদীতে মাছধরতে গিয়ে বাঘের হানায় মৃত্যু হয় বছর বাহান্নর শ্রীনিবাস মন্ডল নামে এক মৎস্যজীবীর। ঘটনাটি ঘটে দক্ষিন ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গল এলাকায়। সেই সময় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয় স্থানীয়দের মধ্যে।

আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বদল, ঘোষণা নতুন প্রার্থীর নাম

এদিকে এই ঘটনার তিন সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের রয়্যাল থাবায় গুরুতর জখম হলেন আরও এক মৎস্যজীবী। তবে বন দপ্তরের অভিযোগ বেশির ভাগ সময়ই নির্দিষ্চ কিছু অঞ্চলে মাছ বা কাঁকড়া ধরতে অনুমতি দেওয়া হয়না স্থানীয়দের। মূলত বাঘের হানা ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তারপরেও সেসব অমান্য করে অনেক সময় নদীতে মাছ ধরতে চলে যান তারা। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। এদিকে সুন্দরবন এলাকার মানুষের মূল জীবন-জীবিকার মধ্যে প্রথমেই পড়ে মাছ-কাঁকড়া ধরার মতো কাজ। তাদের দাবি নদীতে না গেলে যে না খেয়ে মরতে হবে তাদের।